মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি :

‘শান্তির জন্য খেলা’-এ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে বান্দরবানের লামা উপজেলায় বেসরকারী সংস্থা তাজিংডং’র এসআইডি-সিএইচটি, ইউএনডিপি প্রকল্পের আওতায় ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্টিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের টি.টি এন্ড ডি.সি মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ফাতেমা পারুল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কি রানী দাশ, রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রু মার্মা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপ্পেলা রাজু নাহা, ইউএনডিপি’র উপজেলা সমন্বয়ক সেলিম উদ্দিন, সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন, গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্ব নাথ দে, চাম্বি উ্চ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সত্তার, প্রেসক্লাব সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়–য়া, সংস্থার প্রকল্প সমন্বয়কারী পাইচিংউ ও প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মাইকেল মন্ডল, স্থানীয় গন্যমান্যসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা অনুষ্ঠিত খেলা উপভোগ করেন। এ সময় প্রকল্পের ফ্যাসিলেটেটর উচোচাইন মার্মা ও সাচিংপ্রু মার্মা উপস্তিত ছিলেন। প্রথমে চাম্বী উচ্চ বিদ্যালয় ও গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রীদের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ খেলায় ৩-২ গোলে চাম্বী উচ্চ বিদ্যালয়কে পরাজিত করে জয়ী হয় গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। দিনের অপর খেলা অনুষ্ঠিত হয় লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও সরই উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রদের মধ্যে। এতে ৩-১ গোলে সরই উচ্চ বিদ্যালয়কে পরাজিত করে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় জয়ী হয়। খেলা শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমিসহ অতিথিরা বিজয়ী খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি তুলে দেন। বাংলাদেশ রেপারি এসোসিয়েশনের সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহীম, তারেকুল ও তারেফুল ইসলাম সমগ্র খেলা পরিচালনা করেন।

এ বিষয়ে সংস্থার প্রকল্প সমন্বয়কারী পাইচিংউ ও প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মাইকেল মন্ডল বলেন, বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠির কিশোর কিশোরীদের মধ্যে আন্ত সু-সম্পর্ক বৃদ্ধির ও সৌহার্দপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতের লক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের অধীনে স্থানীয় তাজিংডং এ খেলার আয়োজন করে। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে ৮টি বালক ও ৮টি বালিকা দল অংশ গ্রহণ করে। নক আউট পদ্ধতিতে খেলা অনুষ্ঠিত হয়।