মোঃ ফারুক, পেকুয়াঃ

পেকুয়ায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জেনুয়ারা বেগম (১৯) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত গৃহবধু উজানটিয়া ইউনিয়নের করিয়ারদিয়া বাইন্যা পাড়া এলাকার অাবুল কালামের মেয়ে ও একই এলাকার মোঃ রিদুয়ানের স্ত্রী।

গৃহবধুর মা সাদিয়া বেগমের দাবী যৌতকের জন্য তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে স্বামী ও শ্বাশুড়ী।

মঙ্গলবার(২৩জুলাই) সকাল ১০টায় পেকুয়া থানার এসঅাই সুমন সরকার গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে।

গৃহবধুর মা সাদিয়া বেগম বলেন, অামার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল অামিরাত প্রবাসী মোঃ রিদুয়ানের সাথে। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে স্বামী প্রবাসে চলে যায়। স্বামীর অবর্তমানে শ্বাশুড়ী অামার মেয়েকে মারধর করত। মারধরের ঘটনা বাড়তে থাকলে স্বামী বিদেশ থেকে চলে অাসে। এরই মাঝে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের চেষ্টা ছিল স্বামীর সংসার করা। গত ১৫দিন অাগে স্বামী রিদুয়ান যৌতকের জন্য মারধর করে অামার মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। ২০হাজার টাকা অানতে না পারায় সেদিন মেয়েকে প্রচুর মারধর করা হয়। সেদিন থেকে অামরা মেয়ের কোন খবর পায়নি। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী খবর দেন মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে অাত্মহত্যা করেছে। অামি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি অামার মেয়ে অাত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করা হয়েছে।

পেকুয়া থানার এসঅাই সুমন সরকার বলেন, গৃহবধুর লাশটি অামরা গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করি। গৃহবধুর পিতা ও মায়ের অভিযোগ থাকায় স্বামী মোঃ রিদুয়ান ও শ্বাশুড়ী ছকিনা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অাটক করা হয়েছে।

পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গৃহবধুর লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় স্বামী ও শ্বাশুড়ী থানার হেফাজতে রয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তনের জন্য সদর হাসসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।