মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বুনিয়াদি পরিবারের সন্তান ব্যারিস্টার নওরোজ মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল (ডিএজি) নিযুক্ত হয়েছেন। আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রোববার ২১ জুলাই রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ক্রমে জারীকৃত আইন বিভাগের সলিসিটরের কার্যালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ব্যারিস্টার নওরোজ মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী সহ মোট ৭০ জন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীকে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে ব্যারিস্টার নওরোজ মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী কক্সবাজারের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম জাফর আলম চৌধুরী’র জ্যেষ্ট সন্তান মরহুম দানেশ চৌধুরী’র কনিষ্ঠ পুত্র এবং কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের ২ বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম দিদারুল আলম চৌধুরী, রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৫ বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মনিরুল আলম চৌধুরী, বিশিষ্ট সমাজসেবক রফিকুল আলম চৌধুরী ও ডাঃ ফরিদুল আলম চৌধুরীর ভ্রাতুষ্পুত্র।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার জেলায় রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি গ্রাম থেকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সর্বপ্রথম বিচারক হয়েছিলেন বিচারপতি আমিরুল কবির চৌধুরী। একইভাবে কক্সবাজার জেলায় রামু উপজেলা থেকে রাষ্ট্রের মামলা পরিচালনার জন্য আইন কর্মকর্তা হিসাবে ব্যারিস্টার নওরোজ মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী সর্বপ্রথম ডেপুটি এটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ পেলেন। ব্যারিস্টার নওরোজ মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী রামু উপজেলার প্রথম ব্যারিস্টার। আত্মীয়তা সম্পর্কে মরহুম বিচারপতি আমিরুল কবির চৌধুরী ও ব্যারিস্টার নওরোজ মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী বৃহত্তর একই পরিবারের সন্তান। ব্যারিস্টার নওরোজ মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নে সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৭৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যারিস্টার নওরোজ মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী পিতা নাম-মরহুম দানেশ চৌধুরী প্রকাশ দানু মিয়া, মাতা- সাজেদা চোধুরী। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে এসএসসি, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ হতে এইচএসসি পাশ করেন তিনি। ইংল্যান্ডের ওলভার হাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক পাশ করার পর ২০০৩ সালে ব্যারিস্টার এট ল ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর দু’হাজার সাত সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, দুদক, সিভিল এভিয়েশন সহ আরো অনেক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্যানেল আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সফলতার সাথে। দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ হচ্ছেন-ব্যারিস্টার নওরোজ মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী। বড় ভাই রামু কলেজের সাবেক অধ্যাপক কবি দেলোয়ার চৌধুরী ও একই কলেজের অধ্যক্ষ মরহুমা রেশমিন শারমিন চৌধুরী তাঁর মেঝ বোন। তাঁর স্ত্রী সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট নাদিয়া শারমিন রহমান। ব্যক্তিগত জীবনে ব্যারিস্টার নওরোজ মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী স্ত্রী ও দু’সন্তান নিয়ে ঢাকাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনার জন্য ৭০ জন আইনজীবীকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) হিসেবে নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে ৩১ জনকে নতুন, ৩২ জনকে পুনরায় এবং ৭ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে পদোন্নতি দিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়োগ পাওয়া ৩১ জন হলেন-এস এম নজরুল ইসলাম, মো. মোজাম্মেল হক রানা, ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান, মো. সাইফুদ্দিন খালেদ, মো. আসাদুদজ্জামান মনির, মো. আব্দুল আজিজ মিয়া মিন্টু, মো. তাহরেুল ইসলাম, মো. শফিকুল ইসলাম সিদ্দিক, অমিত দাস গুপ্ত, বি এম আব্দুর রাফেল, তুষার কান্তি রায়, মোহাম্মদ আবুল হাশেম, এস এম আশরাফুল হক জর্জ, দেবাশীষ ভট্রাচার্য, আবু ইয়াহিয়া দুলাল, এস এম ফজলুল হক, মো. গিয়াস উদ্দিন আহমদ, সূজিত চ্যাটার্জী ব্যাপ্পী, ব্যারিস্টার নওরোজ মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী, শাহীন আহমেদ খান, বিপুল বাগমার, ব্যারিস্টার মো. নুর উস সাদিক, ব্যারিস্টার ওয়ারেস আল হারুনী, মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. মুশফাকুর রহমান সবুজ, হারুনুর রশিদ, আব্দুল ওয়াহাব, কাজী শাহানারা, নাসিমা কে হাকিম ও শাহিদা খাতুন। পুনরায় নিয়োগ পাওয়া ৩২ জন হলেন-আনোয়ারা শাহজাহান, বিশ্বজিৎ দেবনাথ, কে এম জাহিদ সরোয়ার কাজল, অমিত তালুকদার, কাজী জিনাত হক, ড. মো. বশির উল্লাহ, কামাল উদ্দিন আহমেদ, বেগম খালেদা বিজলী, জেসমিন সুলতানা শামসাদ, বশির আহমেদ, শেখ সাইফুজ্জামান, প্রতিকার চাকমা, ইয়াসমিন বেগম বিথী, তাইফুর কবির, সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মো. আশেক মোমিন, মো. আমিনুর রহমান চৌধুরী টিকু, মো. মহিউদ্দিন দেওয়ান, শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, এস এম গোলাম মোস্তফা, মো. এনামুল হক মোল্লা, অপূর্ব কুমার ভট্রাচার্য, এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার, মো. আমিনুল ইসলাম, কাজী ইবাদত হোসেন, রহিমা খাতুন, এমরান আহমেদ ভূইয়া, অরবিন্দ্র কুমার রায়, এমডি রেজাউল করিম, মো. ফজলুর রহমান খান (এফ আর খান), নুসরাত জাহান। সহকারী অ্যাটর্নি থেকে পদোন্নতি পাওয়া ৭ জন হলেন-আম্বিয়া বুলবুল রেজা, সামিরা তারান্নুম রাবেয়া (মিতি), জান্নাতুল ফেরদৌসি রুপা, মাহফুজা বেগম, কে এম মাসুদ রুমী, মো. ইনসান উদ্দিন শেখ ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।