শাহেদ মিজান, সিবিএন:

আন্তর্জাতিক মানের জরুরী বিভাগ চালুর মধ্য দিয়ে বদলে গেছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে জরুরী চিকিৎসা পদ্ধতিও। শনিবার এই আন্তর্জাতিক মানের জরুরী বিভাগ উদ্বোধন করে সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উন্নত বিশ্বের আদলে এই বিভাগ পরিচালিত হবে ও জরুরি বিভাগের আগত রোগীদের বিশেষ বাছাই প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেয়া হবে। এটিকে ‘ট্রায়াজ সিস্টেম’ বলা হচ্ছে, যেখানে প্রশিক্ষিত ডাক্তার নার্সগন চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবেন।

বেসরকারী এনজিও সংস্থা আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির তত্ত্বাবধানে থাকা বিশ্বমানের এ জরুরী বিভাগে আগত রোগীদের তিন ভাগে বিভক্ত করে চিকিৎসা দেয়া হবে। মূমূর্ষু রোগীদের রাখা হবে রেড জোনে, প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজন এমন রোগীদের রাখা হবে গ্রীন জোনে আর এদের চেয়ে খারাপ রোগীদের রাখা হবে ইয়েলো জোনে অর্থাৎ অবজারভেশনে। সেখানে উন্নতি না হলে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হবে। একই সাথে ১০ জনের অধিক রোগী আসলেও তাদের একই সিস্টেমে চিকিৎসা দেয়া হবে। নির্মিত জরুরী বিভাগে সকালের শিফটে ২ জন, দুপুরের শিফটে ২ জন আর রাতের শিফটে ২ জন করে ডাক্তার চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। এই জরুরী বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের ‘আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি সম্প্রতি উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এর আগে সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে অপারেশন সিস্টেম না থাকলেও এবারের অত্যাধুনিক জরুরী বিভাগে ছোট-খাটো অস্ত্রোপচারও করা হবে বলে জানিয়েছেন। রোগীদের জরুরি অপারেশনের জন্য এখানে রয়েছে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার ও প্লাস্টার রুম। চিকিৎসকদের জন্য আলাদা কক্ষ, পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য আলাদা কক্ষ রাখা হয়েছে। রোগীদের বিনোদনের জন্য টিভির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানান, বিশ্বমানের এই জরুরি বিভাগ বাংলাদেশে প্রথম। আন্তর্জাতিক মানদন্ডে এটা পরিচালিত হবে বিধায় প্রথম দিকে সেবা গ্রহীতা তথা রোগীদের অভ্যস্ত করানোর জন্য কাউন্সিলিংয়ের পাশাপাশি গুণগত ও সঠিক জরুরি চিকিৎসা পাওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে। উন্নত বিশ্বের আদলে ও তত্ত্বাবধানে এই বিভাগ পরিচালিত হবে তাই জীবন বাঁচানো ও গুরুত্ব প্রদানসহ জরুরি বিভাগে আগত রোগীদের বিশেষ বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স, ডাক্তার জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবে। অতিরিক্ত সংকটাপন্ন রোগী সবার আগে চিকিৎসা সেবা পাবেন- যাতে জীবন রক্ষা করা যায়, এরপর অন্যান্য রোগী পর্যায়ক্রমে চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। তাছাড়াও জীবন রক্ষাকারী ওষুধ যথেষ্ট সতর্কতার সাথে প্রয়োগ করা হবে চিকিৎসকের পুর্ণ তত্বাবধানে। দুর্ঘটনায় আহতদের পর্যাপ্ত ও সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে এই প্রকল্পের আওতায়। জরুরি বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ ও নিয়মিত কর্মশালা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।