মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার শহরের জিরো পয়েন্ট হলিডের মোড় থেকে বাজারঘাটা হয়ে লারপাড়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত (হলিডে-বাজারঘাটা-বাসট্যান্ড সড়ক সংস্কার ও প্রসস্থকরণ) প্রধান সড়কটি উন্নয়নে ২৯৪ কোটি ১৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয় হবে। সড়কটিকে নান্দনিক, সুদৃশ্য ও টেকসই ডিজাইনে ৪ লেনে উন্নীত করা হবে। ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন ও প্রসস্থকরণ কাজ করবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। সড়কটি যেহেতু সড়ক ও জনপদ বিভাগের, তাই শুধুমাত্র সড়ক ও জনপদ বিভাগের যতটুকু রাস্তা আগে থেকেই অধিগ্রহণ করে গেজেট প্রকাশ করা আছে, ঠিক ততটুকুই সার্ভে করে উন্নয়ন ও প্রসস্থকরণ কাজে ব্যবহার করা হবে। গেজেটের বাইরে উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের জন্য কোন ব্যক্তিগত জমি কউক অধিগ্রহণ করবেনা। তাই বিল্ডিং কোড মেনে অনুমোদন নিয়ে যাঁরা নিজস্ব জমিতে দালান বা অন্য কোন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন সেগুলো কোনভাবেই ভাঙ্গা কিংবা উচ্ছেদ করা হবেনা। এ বিষয়ে প্রধান সড়কের দু’পাশে ব্যক্তিগত জমি ও স্থাপনার মালিকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার মোটেই কোন কারণ নেই। পরিকল্পিত নগরায়নের অংশ হিসেবে কক্সবাজার শহরের সৌন্দর্য বর্ধন ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কউক কর্তৃপক্ষ জানান, উক্ত সড়কটি নিয়ে দু’বছরের বেশী সময় ধরে কউক কাজ করেছে। এ রাস্তাটি সড়ক বিভাগের হওয়ায় তাঁদের সাথে কউক’র সমঝোতা করেই এ সড়কটির উন্নয়ন ও প্রসস্থকরণ কাজ বাস্তবায়ন করবে। এ প্রকল্পের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হলে সড়কটি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সড়ক বিভাগকে হস্তান্তর করবে। প্রধান সড়কের নিজস্ব জমি দখল করে ইতিপূর্বে যেসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে তা উচ্ছেদের উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা, এ প্রশ্নের উত্তরে কউক কর্তৃপক্ষ বলেন, এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না। গেজেটে প্রধান সড়কের জন্য যতটুকু জায়গা গেজেটে আছে, পুরো জায়াগাটা ব্যবহার করেই এ সড়ক বাস্তবায়ন করা হবে। কউক কর্তৃপক্ষ সিবিএন-কে আরো বলেছেন, প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান প্রধান সড়ক উন্য়ন ও প্রশস্ত করার পাশাপাশি ফুট ওভার ব্রীজ, ড্রেন, ব্রীজ-কালভার্ট, ফুটপাত, সাইকেল ওয়ে নির্মাণ করা হবে। এছাড়া সবুজায়ন, সড়ক বাতি স্থাপন, সিসি ক্যামেরা এবং ওয়াইফাই সংযোগ স্থাপন কর হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে যানজট নিরসনের পাশাপাশি শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ১৬ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বর্তমান সরকারের ১১ তম একনেক সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। একনেকের মঙ্গলবারের সভায় এ প্রকল্পটি কার্যসূচীর এক নম্বরে ছিল। এ প্রকল্পটি সহ প্রায় ৫ হাজার ১৪২ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ৮টি প্রকল্প মঙ্গলবার একনেক অনুমোদন দিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার দেবে ৪ হাজার ১২৯ কোটি ৮১ লাখ এবং বিদেশি ঋণ থেকে আসবে প্রায় ১ হাজার ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।