বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে এই সেবার পোর্টালটি উদ্বোধন করেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “আমরা সরকারের সেবা ডিজিটাইজড করার কাছাকাছি, যাতে দেশের মানুষের জীবন আরও সহজ হয়।

“প্রায় ৯০ শতাংশ সরকারি সেবা আপনাদের মোবাইলে থাকবে; আঙ্গুলের সামনে থাকবে। আপনাদের কোনো সরকারি অফিসে আসতে হবে না। সাধারণ নাগরিকের জীবনে সহযোগিতায় তার সময় বাঁচানো, তার অর্থায়ন বাঁচানো, এটাই ছিল আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশন।

“তবে সেই কাজের জন্য কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল জিনিস প্রয়োজন… এক ছিল আমাদের ন্যাশনাল আইডি সিস্টেম। তাও আমরা করেছি।”

পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে তৈরি ‘পরিচয়’ এপিআই (আপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেইস) ব্যবহার করে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেবা গ্রহীতাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দ্রুততম সময়ে যাচাই-বাছাই করতে পারবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে তৈরি এই অ্যাপ্লিকেশনের সেবা পেতে www.porichoy.gov.bd পোর্টালটি এদিন সবার জন্য উন্মুক্ত হয়। এই এপিআই নির্বাচন কমিশনের জাতীয় ডেটাবেজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “আজকে থেকে পরিচয়টি সরকারি এবং বেসরকারি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করবে যেন দ্রুত সেবাগুলো সহজে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।”

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে জানানো হয়,  পরিচয় ব্যবহার করে সরকারি বা বেসরকারি সংস্থাগুলো তাদের গ্রাহকদের এনআইডি যাচাই করে নিমিষেই সেবা দিতে পারবে। এতে করে এনআইডি যাচাই করার জন্য এখন থেকে আর আগের মতো ৩-৫ কর্মদিবস অপেক্ষা করতে হবে না।

এর আগে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে লগইন করে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য  ‘ম্যানুয়ালি’ যাচাই করতে হতো সংস্থাগুলোকে।

নির্বাচন কমিশনের এনআইডি ডেটাবেজে প্রবেশ অধিকার না থাকায় অনেক সংস্থা এনআইডি যাচাই করতে পারতো না বলেও জানিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

“তবে এখন থেকে পরিচয়ের ওয়েবসাইটে লগইন করলে যে কেউ এই সেবা পেতে পারবেন।”

পরিচয় অ্যাপ্লিকেশনটি ছাড়া সোশাল সিকিউরিটি সেবা দেওয়া সহজ ছিল না বলে পরিচয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম।

তিনি বলেন “এটি সাথে সাথেই জাল আইডিগুলো সনাক্ত করে জালিয়াতি প্রতিরোধ করবে, এবং পরিষেবাগুলো আরও  নিরাপদ করবে।

“পরিচয় গেটওয়ে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বজায় রাখবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের খরচ কমিয়ে কাজকে দ্রুত করবে।”

পরিচয় ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, ডিজিটাল ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট খোলা অনেক সহজ ও সময় সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।