শাহীন মাহমুদ রাসেল:
কক্সবাজার জেলায় এইসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার কমলেও জিপিএ-৫ বেড়েছে।
এবার জেলায় এইসএসসি তে পাসের হার ৫৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যা গতবারের তুলনায় ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ কম। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৬ জন। যেখানে সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সার্বিক পাসের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ। আর ২০১৮ সালে কক্সবাজারে ১০ হাজার ৪২৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছিল ৬ হাজার ৪২৭ জন। পাসের হার ছিল ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩৮ জন। তবে এবছর জিপিএ-৫ বেড়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো ফলাফল বিবরণীতে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০১৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় কক্সবাজার জেলায় মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৬৯৮ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে ১০ হাজার ৬২০জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৫ হাজার ৭শ ৭৬জন। পাশের হার ৫৪.৩৯ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৬ জন। এর মধ্যে ২৭জন ছেলে এবং ২৯ জন মেয়ে। জেলায় বেশি জিপিএ-৫ কক্সবাজার সরকারী কলেজ পেয়েছে ৫১ জন। ১জন করে পেয়েছে সরকারী মহিলা কলেজ, মহেশখালী কলেজ ও ঈদগাহ ফরিদ আহম্মদ কলেজ।
এবছর জেলায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৪শ ৫২শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৪শ ৩৫ জন। যেখানে পাস করেছে ১ হাজার ৯৭ জন। পাশের হার ৭৬.৪৫ শতাংশ।গতবছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মোট পাশ করেছিল ৮৯৭ জন এবং পাশের হার ছিল ৭০.৯৭%। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৪ জন।
বাণিজ্য বিভাগ থেকে এবছর ৬হাজার ১২৯শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৬ হাজার ৮৬ জন। যেখানে পাস করেছে ২ হাজার ৭৯৬ জন। পাশের হার ৪৫.৯৪ শতাংশ। গতবছর ৩ হাজার ৮৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছিল ১হাজার ৯শ ২০জন। পাসের হার ছিল ৬২.১৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১১ জন।
মানবিক বিভাগ থেকে এবছর ৩ হাজার ১১৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩ হাজার ৯৯ জন। যেখানে পাস করেছে ১ হাজার ৮৮৩ জন। পাশের হার ৬০.৭৬ শতাংশ।গতবছর ৪ হাজার ৭শ ৭২জনের মধ্যে পাশ করেছিল ২ হাজার ২১৫ জন।পাশের হার ছিল ৪৬.৪২ শতাংশ।জিপিএ-৫ পেয়েছিল মাত্র ২ জন।
এবারে জেলার অধিকাংশ কলেজের সার্বিক ফলাফল নিম্নমানের হলেও প্রতিবারেরমত এবারও ঈর্ষনীয় সাফল্য পেয়েছে কক্সবাজার সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।
কক্সবাজার সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ্য একেএম ফজলুল করিম চৌধূরী জানান, এবছর ৯৯৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৯৪০ জন এবং পাশের হার ৯৪.০৯ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞানে ৩৯ জন, ব্যবসায় শিক্ষায় ৬ জন এবং মানবিকে ৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ প্রাপ্তদের মধ্যে ২৪ জন ছেলে এবং ২৭ জন মেয়ে।
তিনি আরও জানান,বিজ্ঞান বিভাগে ৪০৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩৯০ জন। পাশের হার ৯৬.৫৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯ জন।
বণিজ্য বিভাগে ৩২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩১৪ জন। পাশের হার ৯৬.৯১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন।
আর মানবিক বিভাগে ২৭১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২৩৬ জন। পাশের হার ৮৭.০৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন।