শাহেদ মিজান, সিবিএন:
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলীতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর তরুণী গণধর্ষণ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই ঘটনায় আলোচিত মাতাররবাড়ি সড়কের সিএনজি লাইনম্যান রশিদকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার বিকালে মাতারবাড়ি ফাঁড়ির একদল পুলিশ মাতারবাড়ি থেকে তাকের আটক করে। পরে তাকে মহেশখালী থানায় আনা হয়েছে। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, চালিয়াতলীর চাঞ্চল্যকর তরুণী গণধর্ষণ মামলায় লাইনম্যান রশিদকে নিয়ে সর্বত্র আলোচনা চলছে। তার বিরুদ্ধে এই ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টার অভিযোগ তুলছে অনেকে। এই নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে। তবে ধর্ষণের শিকার তরুণী তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনেনি।
ওসি আরো জানান, ধর্ষণের শিকার তরুণী অভিযোগ না আনলেও বিভিন্ন স্তরের মানুষ লাইনম্যান রশিদকে ওই ঘটনার ধামাচাপা চেষ্টা হোতা বলে দাবি করছেন। এই নিয়ে সর্বত্র আলোচনা চলছে। এর প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার যদি সংশ্লিষ্ট তাকে তাহলে জিজ্ঞাসাবাদে তা বেরিয়ে আসবে। তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই রাতে ওই তরুণী চট্টগ্রামের কর্মস্থল থেকে নানার বাড়ি মাতারবাড়ি আসার পথে তাকে পাহাড়ে তুলে ধর্ষণ করে নলবিলার আমির সালাম, এনিয়া, সিএনজি চালক আদালত খাঁ ও ওসমান গণিসহ ১৪জন। কিন্তু এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে মিশন নিয়ে নামে মাতারবাড়ির সড়কের সিএনজি লাইনম্যান রশিদ, স্থানীয় মেম্বার লিয়াকত আলী ও খদিজা বেগমসহ একটি চক্র। তবে শুক্রবার ঘটনাটির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিকালে মাতারবাড়ি থেকে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করা হয়। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণী বাদি হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় মেম্বার লিয়াকত আলী ও খদিজা বেগম এবং দুই ধর্ষক গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।