শাহেদ মিজান, সিবিএন:

গত উপজেলা নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দলে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় কক্সবাজারের  পাঁচ জন আওয়ামী লীগ নেতা বহিস্কার হতে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বহিস্কারের  তালিকায় রয়েছেন- কক্সবাজার সদর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য নুরুল আবছার, টেকনাফে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাফর আলম, রামুতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল, মহেশখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরীফ বাদশা, চকরিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী। তাদের মধ্যে নূরুল আবছার ও জাফর আহমদ ছাড়া বাকি তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারী কমপক্ষে দুইশ’ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তালিকা প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে । ২০ জুলাইয়ের পর ধাপে ধাপে এসব বিদ্রোহী প্রার্থী বরাবর সাময়িক বহিষ্কারাদেশের চিঠি প্রেরণ করবে দলটি। একই সঙ্গে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না- তা জানতে চেয়ে পাঠানো হচ্ছে ‘শোকজ’ নোটিশ। এছাড়া সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের শতাধিক নেতা উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দেবে আওয়ামী লীগ। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতেই মূলত এই কঠোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০ জুলাই আমাদের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা আছে। সেই সভায় অভিযুক্ত নেতাদের সাময়িক বহিষ্কার ও শোকজ নোটিশ দেয়ার দিনক্ষণ নির্ধারিত হবে। সহযোগী সংগঠনের যেসব নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন তাদের দায় সংশ্লিষ্ট সংগঠনের। এসব বিদ্রোহীর শাস্তির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সংগঠন তাদের গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা করবে।

তথ্য মতে, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন- গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার ও শোকজের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে যেসব মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালী নেতা কাজ করেছেন, তাদেরও কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠাবে আওয়ামী লীগ। শোকজের জবাব যথার্থ না হলে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হবেন অভিযুক্তরা।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে কয়েকটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা অভিযুক্তদের খসড়া তালিকা প্রস্তুত করেছেন। শুক্রবার দলের যৌথসভায় এই তালিকা দলীয় সভাপতির কাছে জমাও দিয়েছেন তারা। বাকি বিভাগগুলো তাদের তালিকা আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত করে জমা দেবে।