মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম জুন-২০১৯ মাসের সার্বিক কর্মকান্ড বিবেচনায় চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপারের সম্মাননা পেয়েছেন। বুধবার ১৭ জুলাই পুলিশের চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের ডিআইজি’র কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার) পিপিএম আনুষ্ঠানিকভাবে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম কে চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের শ্রেষ্ঠ এসপি’র সনদ ও সম্মাননা প্রদান করেন। এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পুলিশের চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি গণ চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জ কার্যালের অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাগণ ও পুলিশের চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের সকল পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নভেম্বর ২০১৮, জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ২০১৯ মাসেও কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম সার্বিক কর্মকান্ড বিবেচনায় চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের শ্রেষ্ঠ এসপি’র সম্মাননা পেয়েছিলেন। কক্সবাজারে এসপি হিসাবে যোগদানের ৯ মাসের মধ্যে ৫ মাসে ৫ বার রেন্ঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হলেন। এছাড়া পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের মধ্যে পরপর দুই মাসের অর্থাৎ মে ও জুন ২০১৯ মাসের শ্রেষ্ঠ সার্কেল হয়েছে-কক্সবাজার জেলা পুলিশের (উখিয়া সার্কেল), শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে (মহেশখালী), এবং সার্বিক বিবেচনায় রেঞ্জের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এসআই, শ্রেষ্ঠ অস্ত্র উদ্ধারকারী, শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী, শ্রেষ্ঠ ডিএসবি অফিসার সহ কক্সবাজার জেলা পুলিশ আরো ৭টি ক্যাটাগরিতে রেন্ঞ্জের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম বিগত সালের ১৭ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদানের পর মহেশখালীতে ৪৩ জন কূখ্যাত জলদস্যূকে আনুষ্ঠানিকভাবে সারেন্ডার করান, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে ১০২ জন চিহ্নিত ইয়াবাকারবারীকে সারেন্ডার করিয়েছেন। কক্সবাজার জেলার ৮ টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে কক্সবাজার জেলা পুলিশের ভূমিকা ছিল খুবই প্রশংসনীয়। ২ জুলাই কক্সবাজারে ৩৮৬ জন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম সহ জেলা পুলিশের নিষ্টা ও সততার কারণে সম্পূর্ণ দূর্নীতি, ঘুষ, দালাল, প্রতারক ও ফড়িয়ামুক্ত যোগ্যতা, মেধা ও নীতিমালার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে। এনিয়োগ নিয়োগ কক্সবাজার জেলা পুলিশ প্রশংসায় ভেসেছেন।ইয়াবা সহ মাদক বিরোধী অভিযানে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অনুসরণ করে জেলায় মাদক বিরোধী কঠোর সাড়াশি অভিযান এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম অব্যাহত রেখেছেন। গড়ে তুলেছেন মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতা। যে কারনে ইয়াবাকারবারীদের মূর্তিমান আতংক হিসাবে তিন পরিচিতি লাভ করেছেন। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন (বিপি:৭৫০৫১০৫০৭৯) বিপিএম গত ৪ ফেব্রুআরি পুলিশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার সাহসিকতায় বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিপিএম পদক পেয়েছেন। জাতীয় পুলিশ সাপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন সহ পুরস্কারপ্রাপ্ত সকলকে মূল্যবান এ পদক পরিয়ে দেন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের জুন মাসেও শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপারের সম্মাননায় ভূষিত হওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে বুধবার মুঠোফোনে সিবিএন-কে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় মহান আল্লাহতায়লার কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপন করে বলেন-এ মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননার জন্য তাঁকে নির্বাচিত করায় তাঁর ত্যাগ, সাহস ও ঝুঁকিপূর্ণ কর্মের যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে তাঁর কাজের গতি, সাহস ও উৎসাহ আরো বাড়বে বলে এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন-সম্মাননা প্রাপ্তির এই অর্জন শুধুমাত্র তাঁর একার কৃতিত্ব নয়, তাঁর মতে-এই কৃতিত্ব কক্সবাজার জেলা পুলিশের সকল সদস্যের। কারণ, জেলা পুলিশের সকল সদস্য ও কক্সবাজারের নাগরিবৃন্দ আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষা ও অপরাধ দমনে সহযোগিতা না করলে এ বিরল অর্জন ও সফলতা কখনো সম্ভব হতোনা। এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম বলেন-এ বিশাল প্রাপ্তি তাঁর ও তাঁর বাহিনীর দায়িত্বের পরিধিকে আরো বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছে এবং জেলাবাসীর কাছে ঋনী করেছে। এ সম্মাননা পুলিশ ও জেলাবাসীর মর্যাদাকে বৃদ্ধি করেছে। তিনি পুরস্কার প্রাপ্তির এই শুভলগ্নে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সকল কর্মকর্তা ও সদস্য এবং কক্সবাজারের সকল নাগরিককে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এই অপরিসীম অর্জনে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সকল সদস্য অধম্য আত্মবিশ্বাস, প্রেরণা ও প্রত্যয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি জেলা পুলিশের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে একইদিন পুরস্কার পাওয়া অন্যান্যদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন। পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম তাঁকে প্রদত্ত এই গৌরবময় সম্মাননার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক (বিপিএম-বার পিপিএম), পুলিশের চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জ দপ্তরের সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তাঁর কর্মজীবনের আরো সাফল্যের জন্য এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম সবার কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন।