সংবাদদাতা :
ভিত্তিহীন ও হয়রানী মূলক মামলায় মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে ৪ সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন পেয়েছেন চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি, দৈনিক মানবকণ্ঠ ও দৈনিক হিমছড়ি পত্রিকার চকরিয়া প্রতিনিধি, চকরিয়া টোয়েন্টিফোর ডটকম (অনলাইন নিউজ) সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আবদুল মজিদ। জামিনের মেয়াদ ১৬ জুলাই শেষ হয়ে গেলে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্টে বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী এদিন বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত,কক্সবাজারে আত্মসমর্পন করে বিজ্ঞ আইনজীবির মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। আসামীর উপস্থিতিতে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক (চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট) মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ মামলার পর্যালোচনা ও দীর্ঘ শুনানী শেষে স্থায়ী তাকে জামিন দিয়েছেন।
আসামী পক্ষে জামিন শুনানী করেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম। সহযোগিতায় ছিলেন এডভোকেট মামুনুর রশিদ, এডভোকেট মোঃ আনোয়ার, এডভোকেট জিয়া উদ্দিন বাবুল, এডভোকেট জিয়াউল হক প্রমূখ আইনজীবিগন।
এডভোকেট রফিকুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক আবদুল মজিদকে হয়রানীর উদ্দেশ্যেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এটি একজন সাংবাদিককে হয়রানী ছাড়া কিছুই নয়।
জানাগেছে, চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত বাদী হয়ে মানহানী, হুমকি, সরকারী কাজে বাধা দানের অভিযোগে দন্ডবিধি ১৮৬, ১৮৯, ৩৫৩ ও ৫০০ ধারায় চকরিয়া সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিআর মামলা নং ৬১১/১৯ দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত সরাসরি গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করলে ভূক্তভোগী আসামী চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল মজিদ বিগত ১৮জুন ১৯ইং মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একই বেঞ্চ থেকে আগাম জামিন লাভ করেন।
জামিনে আসার পর চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের নির্দেশে এসিল্যান্ড অফিসের কানুনগো উথোয়াই চিং মার্মাকে বাদী করে গত ২৪জুন’১৯ ইং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ আইনের ২৫,২৭ ও ৩১ ধারায় আরো একটি মামলা (নং ৪২/জিআর ৩২০) দায়ের করেন। ওই মামলা থেকেও মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, চকরিয়ার এক সাংবাদিককে এসিল্যান্ড কর্তৃক নাজেহাল করার প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে চকরিয়া আদালতের সিআর মামলা নং ৭২২/১৮ এ স্বপ্রনোদিত হয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীর পক্ষে প্রতিবেদনসহ সাংবাদিক আবদুল মজিদের বিরুদ্ধে পরপর উপরোক্ত ২টি ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করেন।