সংবাদদাতা :
রামু চাকমারকুল আল্ জামেয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসায় রাতের আধাঁরে ৬টি সিসি ক্যামেরা গায়েব করেছে এক স্বার্থান্বেষী মহল। রবিবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাতে মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সিসি ক্যামেরাগুলো গায়েব করা হয়েছে, বলে ধারনা করছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ জনগন।
মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসার বহিস্কৃত শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকসহ গুটি কয়েক দুষ্কৃতকারী লোক গত কয়েক মাস থেকেই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে নানা অপবাদ অপপ্রচার করে যাচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন অভিযোগ এনে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এতে স্বনামধন্য এ মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। কিছু স্বার্থান্বেষী লোকের সহায়তায় মাদ্রাসার নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত করার জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধমকীসহ নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে স্বার্থান্বেষী মহল।
তিনি জানান, মাদ্রাসা প্রবেশ পথ থেকে পুরো ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কোথাও কোন ঘটনা ঘটে থাকলে তার প্রমান সংরক্ষিত থাকবে। তার (আব্দুর রাজ্জাক) এসব অপপ্রচারের প্রমাণ না থাকার জন্য রাতের আধাঁরে এ সিসি ক্যামেরাগুলো কেটে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মুহতামিম উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করেছেন বলে জানান।
মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক জানান, শনিবার রাতে যথানিয়মে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রবিবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে উঠলে ছাত্ররা কিছু এলোপাতাড়ি বৈদ্যুতিক তার পরে থাকতে দেখলে মসজিদে বলে। উপস্থিত মুসল্লীরা ঘুরে দেখে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো সিসি ক্যামেরা নেই। এবং ওসব জায়গায় তার কাটা রয়েছে। রামু থানা পুলিশও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শিক্ষক ও ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করে বলে জানান।
রামু থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, রামু চাকমারকুল মাদ্রাসায় পক্ষে বিপক্ষে আদালতে কয়েকটি মামলা রয়েছে। একটি মামলার তদন্ত করতে তিনি রবিবার সকালে ওই মাদ্রাসায় যান। সেখানে গিয়ে মাদ্রাসার অফিস কক্ষের সামনে সহ বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা রাতের আধাঁরে কে বা কাহারা নিয়ে গেছে বলে মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমাকে মুঠোফোনে না পেলেও তিনি আদালতের নির্দেশে গত ৮ জুলাই রামু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের স্বনামধন্য প্রাচীণ কওমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল্ জামেয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলূম চাকমারকুল মাদ্রাসার আইনশৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে এক বৈঠক করেন বলে জানা যায়। ওই বৈঠকে মাদ্রাসা সংশ্লীষ্ঠ এবং সচেতন নাগরিকদের মাদ্রাসার সুনাম রক্ষায় সহযোগিতা করার আহবান জানান এবং নিয়মিত পাঠদান চালিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন।