রুহুল আমিন

প্রথম ব্যাচ আপনারা এরপর আমরা এসেছিলাম তাই সবথেকে ভালো সম্পর্কটুকু আমাদের সাথেই আপনাদের গড়ে উঠেছিল।
আজ চূড়ান্ত ভাইভার মাধ্যমে অর্নাস জীবন শেষ করছেন।হয়ত আগামীতে আমরাও সেই গোড়াতে পৌঁছবো।এভাবেই নিয়মটা চলমান থাকবে।এটা কখনও কেউ ধরে রাখতে পারবে না যেটাকে আমরা বাস্তবতা বলে থাকি।
সবথেকে কষ্ট হচ্ছে একটি জায়গায়,আর কখনও হয়ত করিডোরে আড্ডায়,মাস্তিতে মাতোয়ারা হতে পারবো না,আর হয়ত মান,অভিমানের পাল্লাটা কেউ চাইলে ভারি করতে পারবে না।আমি জানি না কোথাও এমনটায় হয়েছে কিনা যেটা আমাদের মাঝে হয়েছিলো সেটা হচ্ছে,ভালো একটি পরিবেশে ভালো একটি সম্পর্ক।যেটাকে হৃদয়ছোয়া ভ্রাতৃত্বের বন্ধন বলা যাবে।
অনেকের প্রশ্ন আসতে পারে দূর কি বলো?অর্নাস জীবনে এরকম সম্পর্ক হয় নাকি?সত্যি বলছি জ্বি হয়ে থাকে,যেটা আমাদের মাঝে হয়েছে।
আপনারা আমাদের সিনিয়র হলেও সবসময় বন্ধুর মতই ছিলেন কখনও সিনিয়র শক্তিটা নিয়ে এড়িয়ে চলতে দেখি নিই সবসময় লক্ষ করেছি যতটুকু পারেন কাছে টেনে নিয়েছেন ছোটদের।
সবসময় একটা ইউনিটি ছিলো আমাদের মাঝে,যেকোনো কাজে সুন্দর মন নিয়ে পুরোদমে নেমে পড়তাম একসাথে সবাই সফলতার জন্য।
বিভাগের জন্য আপনারা এতোটায় নিবেদিত প্রাণ ছিলেন যেটা আমি রুহুল কখনও লিখে প্রকাশ করতে পারবো না।
এখন আর বলা হবে না অমুক ভাই,বোন তাড়াতাড়ি আসেন বৈঠক আছে প্রোগ্রাম নিয়ে।
নিজে কিছুটা হলেও দায়িত্ববান হতে চেষ্টা করি সবসময়। সেই দায়িত্ববান হওয়ার পেছনে আপনাদের অবদানটুকু ও কম না।
কখনও মনোমালিন্য জিনিসটা আমাদের মাঝে হতে দেখি নাই,,যখন চেয়েছি ছুটে এসেছেন আমরাও চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব পাশে থাকতে সেই জায়গায় আমরা শতভাগ সফল তা অবশ্যয় বলতে পারবো না।
প্রথম ব্যাচ হিসেবে আপনারা সবসময় সবার কাছে আলাদা ছিলেন এবং আলাদা থাকবেন।
যতটুকু জানি মাস্টার্সটাও অনেকে সিটি কলেজেই করবেন কিন্তু সেই মুহুত্বগুলো বোধয় ফিরিয়ে পাওয়াটা বড়ই দুষ্কর হবে কারণ ওই যে বললাম নিয়তি,বাস্তবতা কাছে সবাই অসহায়।
চলার পথে যদি কখনও ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমার দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করবেন।
আপনাদের দোয়াও ভালোবাসা চিরকাল।
সুখ,শান্তি,সফলতা কামনা করছি।
স্যারদের কে  সবসময় মনে রাখবেন। চির অম্লান থাকুক আপনাদের প্রতি ভালোবাসা।

রুহুল আমিন , ৪র্থ বর্ষ , ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ , কক্সবাজার সিটি কলেজ।