কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া:
সারাদেশে যেভাবে একের পর এক শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে কিছু নরপশু হাতে।তারই ধারাবাহিকতায় এবার কক্সবাজারের উখিয়ায় এক ইমামের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে মসজিদের ভেতরে ধর্ষণ চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে ছাত্রীর মা নুর আশা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ রিপোর্ট লেখাকালীন পযর্ন্ত মসজিদের ইমামকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ডেইল পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রীর পিতা আলি আকবর বলেন এ ঘটনায় দোষী নুরুল আমিনের ফাসি দাবি করেন। রবিবার মা মেয়ে নিয়ে থানায় যেতে হবে। মামলার বাদী নুর আশা বলেন এ ধরনের কাজ যে করতে পারে তাকে পুড়িয়ে মারা উচিত।দ্রূত গ্রেফতার করতে হবে নরপশু ঐ ইমামকে।
উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৭ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য আবদুর রহিম বলেন এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে।ঘটনাটি যদি সত্যি হয় তাহলে ঐ ইমামকে আটক করে শাস্তি দাবী জানাচ্ছি।
উখিয়া থানার উপ পরিদর্শক মিল্টন পাল নেতৃত্বে একদল পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। যার মামলা নং ১৯। তারিখ ১২/৭/২০১৯।
এ ঘটনায় আসামীকে ধরতে পুলিশী অভিযান চলছে । এর আগে, এ ঘটনার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য সালিশে সে ইমামকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
জানা গেছে, স্থানীয় একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী দুপুর ১২টায় স্কুল থেকে ঘরে ফিরছিল। পথিমধ্যে ডেইল পাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ নুরুল আমিন তাকে মসজিদ ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলে কৌশলে মসজিদে নিয়ে যায়।
পরে মসজিদের ভেতর নিয়ে ইমাম তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর শিশুটি মসজিদ থেকে বের হয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি গিয়ে তার বাবা-মাকে একথা জানায়। এ ঘটনার পর থেকে ইমাম পলাতক রয়েছে।
ধর্ষক নুরুল আমিন রাজাপালং ইউনিয়নের ডেইল পাড়া এলাকার সব্বির আহমদের ছেলে।