এফ এম সুমন পেকুয়া (কক্সবাজার):

পেকুয়ায় টানা কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও বেড়িবাঁধ উপচে পড়ে প্লাবিত হয়েছে উপজেলা সদরের টেকপাড়া, বলির পাড়া, সাকুর পাড়া, সিরাদিয়া, নন্দীর পাড়া, হরিনাফাড়ি, জালিয়াখালী, মেহেরনামা, মগনামা ইউনিয়নের কাঁকপাড়া শরৎঘোনা, মগনামা ঘাঁট, ফতাইলা মার পাড়া, ঘাট মাঝির পাড়া, দরদরিয়া ঘোনা, উজানটিয়া ইউনিয়নের পেকুয়ার চর সুতাচুরা, সকির পাড়া, টেকপাড়া, রাজাখালীর ইউনিয়নের সিন্দু পাড়া, বইশ্যা ঘোনা, বদি উদ্দিন পাড়াও শিলখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ ঘরবাড়ি। ফলে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজারো মানুষ। সংকট দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানির। মানুষের চলাচল সহ দৈনিন্দিন কাজে দেখা দিয়েছে চরম স্থবিরতা। জলাবদ্ধতায় বেশি দূর্ভোগ পোহাচ্ছে স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রী, শশিু বৃদ্ধও খেটে খাওয়া মানুষেরা। দূর্গতরা বলছেন বড়িবাঁধ পূর্ণ সংস্কার না করাও কিছু অসাধু সিন্ডিকেট মাছ ধরার জন্য স্লুইচ গেইটে জাল বসিয়ে পানি আটকে রাখার কারনে জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছেনা। পেকুয়া টেকপাড়ার বাসিন্ধা আব্দুল আজিজ জানান, টানা বৃষ্টিতে আমাদের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমাদের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে আমার ঘরে পানি ডুকেছে । তার মতো একই এলাকার জসিম উদ্দিন বলেন, টানাবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় আমাদের বাড়ি ঘরে পানি ওঠেছে তিনি অভিযোগ করেনে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট স্লুইচ গেটে জাল বসিয়ে পানি যেতে বাঁধা সৃষ্টি করেছে যার ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পেকুয়া সদর ইউনয়নের বাসিন্ধা তরুণ রাজনৈতিককর্মী এডভোকেট রাশেদ শুক্রবার দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছে এসময় তিনি বলেন, বেড়িবাঁধ পূর্ণ সংস্কার না করা এবং স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল মাছ ধরার উদ্দ্যেশ্যে পানি নিষ্কাশনের স্লুইচ গেটে জাল বসিয়ে পানি যেতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে যার ফলে জলাবদ্ধতায় কষ্ট পাচ্ছে মানুষ তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবী জানান। এদিকে মগনামার জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে চাইলে মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম বলেন, আমাদের এখানে বেড়িবাঁধ এখনো অরক্ষিত। তাছাড়া মগনামায় যে পরিমান বৃষ্টিতে পানি হয় তা নিষ্কাশন করার মতো পর্যাপ্ত সুইচগেইট এখানে নেই। যার ফলে বৃষ্টি হলেই এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তিনি আরো বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের একমাত্র উপায় তা হলো পর্যাপ্ত স্লুইচ গেইট স্থাপন । এবিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুব উল করিম জানান, আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে শুকনা খাবার ব্যবস্থা করেছি যা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে তবে আমরা আরো ত্রানের জন্য উর্ধতন মহলকে জানিয়েছি আশা করছি তা দ্রুত আমাদের কাছে আসবে। তবে আমরা যে স্লুইচ গেটে জাল বসানোর খবর পেয়েছি তা সাথেই সাথেই উঠিয়ে দিয়েছি। এরকম খবর পেলে অবশ্যই জরুরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।