মোঃ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম:
শঙ্খ নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বাজালিয়া মীর পাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে শঙ্খের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর থেকে উপজেলায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) থেকে চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা। পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে পর্যটন জেলা হিসাবে
পরিচিত বান্দরবানে। বড়দুয়ারা মাহালিয়া রাস্তার মাথা এলাকার প্রায় ৭’শ মিটার সড়ক ৪ ফুট পানিতে ডুবে থাকায় গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। সড়কে গাড়ির পরিবর্তে চলছে নৌকা। যাত্রীরা নৌকা ও ভ্যানে পারাপার হচ্ছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে সাতকানিয়ার চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়কের খাটাকালি ব্রিজে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীরা নৌকা দিয়ে পানিতে তলিয়ে থাকা সড়কে দু’দিকে পার হচ্ছে। কিছু যাত্রী আবার ভ্যানে করে পার হচ্ছে। প্রতিজন যাত্রী পার হতে ৫০ টাকা করে ভ্যান ভাড়া নিচ্ছে। নৌকাতেও পার হলে একই ভাড়া দিতে হচ্ছে।
মিজানুর রহমান নামে বান্দরবানের বাসিন্দা বলেন, ‘বন্যা হলেই সড়কটি ডুবে যায়। লোকজন কত কষ্টে তলিয়ে থাকা স্থানটি
নৌকা ভ্যানে পার হচ্ছে। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরা পার হতে বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন। সামান্য জায়গা পার হতে ৫০ টাকা ভাড়া নেয়া হচ্ছে। এটা যাত্রীদের উপর জুলুম করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।’
বান্দরবান সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সজিব আহমেদ বলেন, ‘বান্দরবানের দুটি পয়েন্ট পানিতে ডুবে যেত। একটি পয়েন্ট ইতোমধ্যে উঁচু করা হয়েছে। চলতি বছরে বাজালিয়ার সড়কটি উচু করার কথা ছিল। কিন্তু গত বছরের অক্টোবর মাসে এ সড়কটি আমরা সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছি। এখন বাকি কাজ সেনাবাহিনী করবে। এরপরও আমরা সেনাবাহিনীর কাছে সড়কটি আগেই উঁচু করে দেওয়ার অনুরোধ করেছি।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।