স্পোর্টস ডেস্ক:
পুরো টুর্নামেন্টে একক আধিপত্য বিস্তার করে খেলা। মাত্র ১ হারে সেমিফাইনালে পৌঁছানো। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন সেমিফাইনালে শক্তিশালী ভারতের কাছে পাত্তাই পাবে না নিউজিল্যান্ড। কিন্তু গতকাল সবাইকে অবাক করে দেয় কিউররা। ওল্ড ট্রাফোর্ডে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিতে ভারতকে তারা হারিয়ে দিয়ে কাটে ফাইনালের টিকিট। আসর জুড়ে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেললেও তাই হতাশায় মুষড়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় বিরাট কোহলির দলকে।

একদিনের বাজে পারফরম্যান্সে পুরো আসর জুড়ে ভালো ক্রিকেট খেলা দলের বিদায়? ভারতের হারের পরেই তাই বিশ্বকাপের এই ফরম্যাট নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন! ভারতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলিও মুখ থেকেও বেরোল এই কথা। আইপিএলের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘কিছু একটা ভাবা দরকার। আইপিএলের প্রক্রিয়াটা বেশ ভাল। প্রথম দুই দল দুটি করে সুযোগ পায়। একটা বাজে দিন এভাবে ভালো খেলা একটি দলকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় দিতে পারে না।’

ক্রিকেট নিয়ে বরাবরই উন্মাদ ভারতীয়রা। হারের পর টিম ইন্ডিয়ার ভক্ত-সমর্থকরা স্বভাবতই হতাশ। ক্ষতবিক্ষত তাদের হৃদয়। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জসপ্রিত বুমরাহের উপর তাদের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু মাঠে গুরুত্বপূর্ণ সময়েই অনুজ্জ্বল তারা।

মাঠ থেকে বেরোনের সময় তাই ক্ষুব্ধ ভারতীয়দের প্রশ্নের বাণের মুখে পড়েন গাঙ্গুলি। তবে সেখানে বর্তমান দলের প্রশংসা করে সমর্থকদের সান্ত্বনা দেয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি ভারতকে ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলা গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, ‘কোহালিরা ভালো খেলেছে। গোটা টুর্নামেন্টে ভালো খেলে এক দিনের খারাপ ক্রিকেটে বিদায় নেয়াটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। সত্যিই হতাশজনক।’

এদিকে বিশ্বকাপের আগেই ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বর স্লট নিয়ে চিন্তায় ছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। দক্ষ কাউকে না পাওয়ায় কখনো বিজয় শঙ্কর, কখনো লোকেশ রাহুল, কখনো বা রিশাভ পান্থকে তারা এই জায়গায় খেলিয়েছে। কিন্তু বারবার এই পরিবর্তন দলের ক্ষতি করলো না? সৌরভ সহমত পোষণ করে বলেন, ‘এটা ঠিক করে ফেলা উচিত ছিল আগেই। যার কথাই ভাবি না কেন, তাকে এক বছর ধরে খেলিয়ে তৈরি করা উচিত ছিল বিশ্বকাপের জন্য।’

সবশেষে ফাইনালে উঠতে না পারার আক্ষেপে গাঙ্গুলি বলেই বসলেন, ‘ভেবেছিলাম লর্ডসে ফাইনাল খেলব। কী যে হয়ে গেল!’