বার্তা পরিবেশক:
মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের দাবি করে দৈনিক আলোকিত উখিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলা দায়ের করেছেন দিদারুল আলম নামে এক ব্যক্তি। তিনি কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা দরগাহপাড়ার বাসিন্দা। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ওই পত্রিকার পরিচালনা ও সম্পাদনা বিভাগের পাঁচজনকে আসামী করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামীরা হলেন- আলোকিত উখিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক মিজানুর রশিদ, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ বজলুর রহমান জুয়েল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী ও মোঃ আমিনুল ইসলাম সাগর এবং ক্রাইম প্রতিবেদক আমিনুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, আসামীরা তাদের পত্রিকায় বাদির বিরুদ্ধে সংবাদ ছাপানোর ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চাবি করেন। কিন্তু বাদি দাবিকৃত চাঁদা দেয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীনভাবে গত ৮ জুলাই ‘অর্ধজন ডাকাতি মামলার আসামী ইয়াবা ডন দিদার এখন আওয়ামী লীগ নেতা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

বাদি দিদারুল আলম এজাহারে আরো লিখেন, তিনি একজন সম্মানী ব্যক্তি। তিনি একাধারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংঠন আওয়ামী মোটর শ্রমিকলীগ ও মটর চালক লীগের জেলা সভাপতি, বাংলাদেশ আলোকিত সমাজের কক্সবাজার জেলা সভাপতি এবং ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। একই সাথে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। এছাড়া তিনি কখনো মাদক ব্যবসা বা কোনো অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না এবং এখনো নেই। মূলত দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ক্ষুব্ধ এমন মানহানিকর সংবাদটি ছাপিয়েছেন আলোকিত উখিয়া কর্তৃপক্ষ। এতে বাদির ১ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে।

বাদি পক্ষের আইনজীবি সাজ্জাদুল করিম বলেন, ‘প্রকাশিত সংবাদটি আমার মক্কেলের চরিত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত। এই সংবাদের কারণে তার বেশ মানহানি হয়েছে। আমরা আনুমানিক ১ কোটি টাকার মানহানি উল্লেখ করে এজাহার দায়ের করি। আদালত এজাহারটি মামলা হিসেবে রুজু করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’