মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

দুটি’ বন্দুক, ১২ টি কার্তুজ, দুটি চুরি ও দুটি রাম দা রাখার অপরাধে টেকনাফের লেদা শরনার্থী ক্যাম্পের একজন রেজিস্টার্ড শরনার্থীকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। দন্ডিত শরনার্থীর নাম-মোঃ রশিদ উল্লাহ (৩৭), পিতা-মোহাম্মদ শফি, তার স্থায়ী বাড়ি-মায়ানমারের বুচিদং এর টিং টং গ্রামে। বর্তমানে টেকনাফের লেদা শরনার্থী ক্যাম্পের ‘ই’ ব্লকের ১৯১ নম্বর কক্ষের রেজিস্ট্রাড শরনার্থী। এই শরনার্থীকে দোষী সাব্যস্থ করে কক্সবাজারের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল আবেদীন সোমবার ৮ জুলাই এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। বিষয়টি কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এপিপি এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ হলো-২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১০ টার দিকে উখিয়া উপজেলার বালুখালী কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে পুরনো সিএন্ডবি অফিসের পেছন থেকে দন্ডিত মোঃ রশিদ উল্লাহকে ২ টি অবৈধ বন্দুক, ২ টি চুরি, ২টি রাম দা ও ১২ টি কার্তুজ সহ র‍্যাবের সদস্যরা আটক করে। এ ঘটনায় র‍্যাব-৭ এর কক্সবাজার অফিসের ডিএডি মোহাম্মদ ওমর ফারুক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-এসপিটি : ৯৬/২০১৮ ইংরেজী। ২০১৮ সালের ৯ আগষ্ট মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়। মামলাটির মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন, জেরা, শুনানী ও যুক্তিতর্ক শেষে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯/এ এর ১৯/ এফ ধারায় বিজ্ঞ বিচারক সৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল আবেদীন সোমবার আসামী মোহাম্মদ রশিদ উল্লাহ’কে ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। আদালতে রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী, এপিপি এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ।