প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

কক্সবাজারস্থ কুতুবদিয়া নাগরিক পরিষদের মাসিক আলোচনা সভা কক্সবাজার পৌরসভার হল রুমে পরিষদের সভাপতি আলহাজ সরওয়ার আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৬ জুলাই)
সন্ধ্যা ৭ টায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুতুবদিয়া নাগরিক পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাসুদ কুতুবী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্ঠা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাসুদ কুতুবী বলেন, কক্সবাজারে বসবাসরত কুতুবদিয়ার
অবহেলিত মানুষের কল্যাণে এ সংগঠন। বর্তমানে কুতুবদিয়ায় বসবাসরত মানুষ ভাঙ্গা
বেড়িবাঁধের কারণে প্রাণ শংকায় দিনাতিপাত করছে। জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে পানিবন্দী হয়ে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ। পানির কারণে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় যেতে পারছে না,আমাদের সন্তানরা। তাই এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড়ের কুতুবদিয়াপাড়ার মানুষের শহরে যোগাযোগের প্রধান রাস্তাটিতে রাতের বেলায় চলাচলে মারাত্মক জীবন ঝুঁকির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বালিকা মাদ্রাসা হয়ে ডায়াবেটিক পয়েন্ট পর্যস্ত বিকল্প রাস্তাটিতে লাইটের ব্যবস্থা না থাকায় চুরি-ছিনতায়ের ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। তাই এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন ও পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানের যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কুতুবদিয়া নাগরিক পরিষদের সহ-সভাপতি
মো: শাহজাহান, আবুল বশর, ইয়াহিয়া খান, অর্থ সম্পাদক শাহাদত হোসাইন মুন্না, আব্দুল মান্নান সওদাগর, দপ্তর সম্পাদক এম.এ মোনাফ সিকদার, ক্রীড়া সম্পাদক সিরাজুল করিম, সমাজসেবা সম্পাদক নুরুদ্দিন খান, তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক এসএম তৌহিদুল আলম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো: বেলাল উদ্দিন, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক লায়ন ফাতেমা আনকিজ ডেজি, কৃষি সম্পাদক ওমর ফারুক বাদশা, বাজেট সম্পাদক আব্দুল জব্বার, সদস্য জিএম মুজিবুর রহমান মোজাফ্ফর, রিদুয়ান কাদের, বেলাল হোসেন, জয়নাল আবেদীন ধলু,এম আবুল কাসেম প্রমুখ।

কুতুবদিয়া নাগরিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো.শাহাদত হোছাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত মাসিক আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন পরিষদের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ।

সভায় উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে কুতুবদিয়া নাগরিক পরিষদকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়। এতে গত ২৯ এপ্রিল উদযাপন, ইফতার মাহফিল ও অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়-ব্যয় অনুমোদিত হয়। নতুনভাবে সাধারণ সদস্য বাড়ানোর লক্ষে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হয় এবং এবিষয়ে নাগরিক পরিষদের সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সিদ্ধান্তগ্রহণ করা হয়। পবিত্র ঈদুল আজহা পরবর্তী (১৬ আগষ্ট) ঈদপুণর্মিলনী অনুষ্ঠান সফল করার জন্যও সিদ্ধান্তগৃহীত হয়।