জাহাঙ্গীর আলম কাজল:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর একমাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে পাওয়া নতুন ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকায় পাশাপাশি দ্বিতল বিশাল ভবনটি চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে যে কোন মুহুতে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়, বর্তমান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ভবনের সম্মুখে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে আরেকটি নতুন করে ভবন নির্মানের জন্য মাটি কাটার কাজ সম্পন্ন হলেও দীর্ঘ ৪ মাস যাবৎ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পুরাতন ভবনটির পিলারের পাশ থেকে মাটি সরে যায়। ফাটল ধরেছে ভবনটির বিভিন্ন অংশে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে পড়ালেখা ও আসা-যাওয়া করছেন।
বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছালেহা ছিদ্দিকা জানান- নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বর্তমান দ্বিতল ভবনের সম্মুখে বিশাল গর্ত খুড়ে পুকুরে পরিণত করেছে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গন, আসা-যাওয়ার রাস্তা এবং বর্তমান যে ভবনটিতে পাঠদান চলছে নিচের তলায় বারান্দায় ফাটল ধরায় আমরা শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকিতে আছি।
পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল মাবুদ জানান- স্কুলে ৮ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীরা দ্বিতল ভবনটিতে নিচে এবং উপরের তলায় পাঠ্যকার্যক্রম চালিয়ে যান। নিচের তলার পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা ভয়ের মধ্যে রয়েছে। পুরো দ্বিতল ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হরি কান্ত দাশ জানিয়েছেন- নতুন ভবন নির্মাণের ফলে তড়িৎভাবে ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন না করায় পুরাতন দ্বিতল ভবনের পিলারের পাশ থেকে লাগাতার বর্ষণে মাটি সরে যাচ্ছে। বারান্দার অনেক স্থানে ফাটল ধরেছে। ঝুঁকির বিষয়টি গভর্নিং বড়ির সভাপতি ও বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানীকে অবহিত করা হয়েছে।
গভর্নিং বড়ির সভাপতি ও বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানী জানান- বিষয়টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও দায়িত্বে নিয়োজিত প্রকৌশলীকে অবগত করার পর তড়িৎ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
ঠিকাদার মোঃ জসিম উদ্দিন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।