মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল (যশোর):

বেনাপোলে আবারও সানসিটি আবাসিক হোটেল থেকে এক পুলিশ কনস্টেবলকে অবৈধ মেলামেশার দায়ে এক মহিলাসহ আটক করেছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় তাদের আটক করে।

আটককৃত পুলিশ এর নাম রবিউল ইসলাম। সে নাভারন হাইওয়ে পুলিশের কনষ্টবল এবং আটক যুবতী মিম (২৫) বেনাপোল পোর্ট থানার গাজিপুর গ্রামের মিজানুর এর মেয়ে এবং পিমা নামে একটি সিকিরিউটি কোম্পানির সে নিরাপত্তা প্রহরী।

বেনাপোল পোর্ট থানা জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল বাজারের সানসিটি হোটেলে অভিযান চালানো হয়। সেখানে একটি কক্ষের ভিতর নাভারন হাইওয়ে পুলিশ কনষ্টবল রবিউল ইসলাম এবং বেনাপোল চেকপোষ্টের আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে কর্তব্যরত পিমা নামে একটি সিকিউরিটি কোম্পানির মহিলা নিরাপত্তা প্রহরী মিম নামে এক যুবতীকে আটক করা হয়।

স্থানীয়রা জানায় মিম স্বামী পরিত্যাক্তা। তার একটি ৪ বছরের মেয়ে আছে। অভাব অনটনের সংসারে সামান্য বেতনে চাকরির পাশাপাশি সে অবৈধ কাজ করে থাকে বলে শোনা যায়। আজতো ধরা পড়ার পর তার প্রমান মিলেছে। তার পৈত্রিক বাড়ি যশোর পুলের হাট। সে বেনাপোলে গাজিপুর এলাকায় ভাড়া থাকে।

সানসিটি হোটেলে এর আগেও অনেকবার এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসি। সানসিটি হোটেলের মালিক রাশেদুজ্জামান রাসেল বন্দর প্রেসক্লাব বেনাপোলের সদস্য।

বেনাপোল পোর্ট থানার এস আই লতিফ ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, আমি এবং আমার থানার এএসআই শরিফুল তাদের সানসিটি হোটেলের কক্ষ থেকে হাতে নাতে আটক করি।

এ ব্যাপারে নাভারন হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ এস আই রফিকুল ইসলাম বলেন আমি বিষয়টি এসপি স্যারকে অবগত করেছি। তাকে আপাতত বরখাস্থ করা হবে। আইনগত দিক বিবেচনা করলে তার চাকরি থাকবে না।