ছানাউল করিম:
মাত্র দেড় কিলো সড়ক। মনে হচ্ছে দেড়’শ কিলো। কাজ শেষ হয় না। মানুষের দুর্ভোগ চরমে।

তাই মনের আনন্দে-খুশীতে-ঠেলাই লিখি। মানুষের দুর্ভোগ আমার কী! একদল লোক উন্নয়নের ভাগ খুশিতে-ঠেলাই চুষে চুষে খাবে, মিষ্টি বলে খাবে, আমার কী!

শিশুরা স্কুলে যাবে না। স্থানীয়রা যাতায়াতে কষ্ট পাবে। পর্যটকরা আসবে না। বিকল্প রাস্তায় মানুষের দু্র্ভোগ বাড়বে। সাগরের জোয়ার পানিতে গাড়িগুলো দেবে যাবে, ভেসে যাবে। গাড়ীর যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ে থাকবে। কোটি কোটি টাকা এ খাতে নষ্ট হবে। ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহণে খরচ ৩গুণ বৃদ্ধি পাবে, তাতে আমার কী!

একদল লোক উন্নয়নের ভাগ খুশিতে-ঠেলাই চুষে চুষে খাবে, মিষ্টি বলে খাবে, আমার কী!

রাস্তা খুঁড়ে তছনছ করা করা হবে। ৩ মাসের নোটিশে যান চলাচল বন্ধ করা হবে। কাজের ভাগাভাগি নিয়ে সময় ক্ষেপন হবে। কর্তা বাবুরা বসে বসে পরিকল্পনা করবেন, কিভাবে রাস্তা হবে, কিভাবে ড্রেন হবে। আর এদিকে মানুষ কষ্ট পাবে, তাতে আমার কী! আমি তো খুশিতে ঠেলাই লিখি।

কর্তাবাবুরা বলছেন, বারে বারে প্ল্যান পরিবর্তন হচ্ছে। তাই রাস্তার কাজ সম্পন্ন হতে সময় লাগছে।

বাহ্ কী চমৎকার। কর্তা বাবুদের একটু বলি, নিয়ম মতে টেন্ডার হবার আগেই রাস্তার পরিকল্পনা ম্যাপ হওয়া চাই। কিন্তু আপনারা সে কাজ এখন করছেন কেন? আপনাদের এহেন আহম্মকিতে ৩ মাসের কাজ ৫ মাসেও শেষ হচ্ছে না। কবে শেষ হবে তাও বলা যাচ্ছে না।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অবঃ লেঃ কর্ণেল ফোরকান এক প্রতিবেদককে বলেছেন, দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি স্বল্প সময়ে করে দেবেন।

এখন বলুন, আপনারা কী করবেন ? নিজে করবেন না উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের হাতে দিবেন?

আপনাদের এহেন কাজে মানুষ যে কষ্ট পায়, সেটা বোঝেন না ? নিশ্চয় বোঝেন, দাম দেন না। একটু দাম দেয়া শিখুন, মানুষকে ভালবাসতে শিখুন।

লেখকঃ ছানাউল করিম, গণমাধ্যম কর্মী।