সিবিএন ডেস্ক:

বিশ্বের সবচেয়ে ভ্রমণবান্ধব পাসপোর্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে এশিয়ার দুই দেশ। যৌথভাবে তালিকার শীর্ষ অবস্থান লাভ করেছে জাপান ও সিঙ্গাপুর। দ্বিতীয় অবস্থানে এশিয়ার আরেক দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে রয়েছে ফিনল্যান্ড ও জার্মানি। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স নামের এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০১তম। লন্ডনভিত্তিক নাগরিকত্ব ও আবাসন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনারস মঙ্গলবার (২ জুলাই) এই তালিকা প্রকাশ করেছে।

আগে ভিসা না নিয়ে কত বেশি দেশ ভ্রমণ করা যায় তার ওপরে ভিত্তি করে প্রকাশিত হয় হেনলি পার্সপোর্ট ইনডেক্স। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত জরিপের মাধ্যমে বছরে দুইবার তালিকা প্রকাশ করে হেনলি অ্যান্ড পার্টনারস। ২০০৬ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ভ্রমণবান্ধব পাসপোর্টের এই তালিকা প্রকাশ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ বছরের জুলাই মাসে প্রকাশিত তালিকার শীর্ষে থাকা দুই দেশ জাপান ও সিঙ্গাপুরের পাসপোর্ট দিয়ে পূর্বে ভিসা না নিয়েই (ভিসা অন অ্যারাইভাল বা ভিসা ছাড়াই) ১৮৯টি দেশে ভ্রমণ করা যায়। তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফিনল্যান্ড, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার পাসপোর্ট দিয়ে এভাবে ১৮৭টি দেশে ভ্রমণ সম্ভব। তালিকার তৃতীয় অবস্থানে যৌথভাবে থাকা তিন দেশ ডেনমার্ক, লুক্সেমবার্গ ও ইতালির পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভ্রমণ করা যায় ১৮৬টি দেশ।

২০১৪ সালে হেনলি পার্সপোর্ট ইনডেক্স-এর শীর্ষ অবস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এবারে ষষ্ঠ অবস্থানে নেমে গেছে। যুক্তরাজ্যের অবস্থান নিচে নেমে যাওয়ার কারণ হিসেবে হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়া) প্রক্রিয়াকে দায়ী করা হয়েছে।

তালিকা প্রকাশের ১৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শীর্ষ ২০ অবস্থানে ঢুকে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত পাঁচ বছরে ভিসা অন অ্যারাইভাল বা ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করা সম্ভব দেশের সংখ্যা দ্বিগুণ বাড়িয়েছে দেশটি।

এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০১তম। এই অবস্থানে যৌথভাবে থাকা অপর দেশগুলো হলো ইরিত্রিয়া, ইরান, লেবানন, উত্তর কোরিয়া। এসব দেশের পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ৩৯টি গন্তব্যে আগে ভিসা না নিয়েই ভ্রমণ করতে পারে।

হেনলি অ্যান্ড পার্টনারসের চেয়ারম্যান ও পাসপোর্ট ইনডেক্স এক উদ্ভাবক ড. ক্রিস্টিয়ান এইচ. কাইলিন বলেন, অল্প কয়েকটি ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে সর্বশেষ তালিকায় দেখা যাচ্ছে ভিসা উন্মুক্ত করে দেওয়া দেশের সংখ্যা বাড়ছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।