: মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

এদেশে ঘুষ, মামা-ভাগিনার সম্পর্ক, বিভিন্ন ধরনের তদবির, অনৈতিক কর্মকান্ড ছাড়া কোন সরকারি চাকরীতে নিয়োগ পাওয়া বড়ই দুঃসাধ্য বিষয়। তাও আবার পুলিশ বাহিনীর ক্ষেত্রে হলে সেটা একেবারে চিন্তা করাও অসম্ভব। তবে পুলিশ বাহিনীর শতভাগ সদস্য যে দুর্নীতি পরায়ণ সেটাও আবার নয়। ‘যত দোষ-নন্দ ঘোষ’-এ প্রবাদ বাক্যের মতোই অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণে নেতিবাচক কিছু হলেই আরো বেশী হৈ চৈ পড়ে যায়। পুলিশের কাঁদে চলে আসে অপবাদের বোঝা। সমালোচনায় মুখর উঠে সামাজিক ও গণমাধ্যম। এজন্য অধিকাংশ মানুষ পুলিশ সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষন করেন। পুলিশের বেশীরভাগ কাজকর্মই সাধারণ মানুষের কাছে সবসময় প্রশ্নবিদ্ধ হয়। কোন গঠনমূলক, ঝুঁকিপূর্ণ কিংবা মানবিক কাজকর্ম পুলিশের সদস্যরা করলেও সেটাকে মানুষ সহজে আস্থায় আনতে চায়না। পুলিশের গঠনমূলক কাজকর্মকে হাস্যকর ও লোক দেখানো বলে উড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ পুলিশের সার্বিক ভাবমূর্তি ও ইমেজের থার্মোমিটারের পারদ কোনভাবেই উপরে উঠানো যায়না। পুলিশের থার্মোমিটারের পারদ সবসময় নীচের দিকে থাকে। এজন্য পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অর্থ ও ক্ষমতা বেশী বলে তাদের সম্পর্কে আমাদের দেশে সামাজিকভাবে একটি প্রবাদ শোনা যায়। সেটি হলো-‘মাছের রাজা ইলিশ-জামাইর রাজা পুলিশ’। পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তির এ নাজুক অবস্থা অবশ্য একদিনে হয়নি, ক্রমান্বয়ে সেটি নীচের দিকে ধাবিত হয়েছে। অথচ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ভয়াবহ কালোরাত্রিতে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশলাইনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পৈশাচিক সশস্ত্র হামলা করে অসংখ্য পুলিশ সদস্যকে শহীদ করেছিল। এই পুলিশ বাহিনীর রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশাল অবদান। এ দেশ গড়ায় ও ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে তারা অনেক অর্জনের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করেছেন দেশ ও পুলিশ বাহিনীর ইতিহাস। পুলিশ বাহিনীতে রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের একজন। এ রকম রয়েছে আরো কত সাড়া জাগনো অর্জন। ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত, আহত, পঙ্গু হয়েছেন পুলিশ বাহিনীর শত শত সদস্য। পুলিশের গ্রেপ্তার হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমান অথবা নোয়াখালীজ জেলার সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিপরীত কর্মকর্তাও যে পুলিশ বাহিনীতে আছেন-সেটা পুলিশ বাহিনী প্রধান, চৌকষ ও মেধাবী কর্মকর্তা আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) প্রমাণ করে ছেড়েছেন। এবার সারা দেশব্যাপী ৯৬৮০ জন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগে কোন বাণিজ্য, দালাল, প্রতারক, সর্বোপরি কোন দুর্নীতি ছাড়াই নিয়োগ চুড়ান্ত করতে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম-(বার) ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষনা করেছিলেন। সেই নীতির আলোকেই সারাদেশের মতো কক্সবাজার জেলায় মোট ৩৮৬ জন টিআরসি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। ৩৮৬ জন টিআরসি’র মধ্যে নতুন সৃজনকৃত পুরূষ ৩১ জন, নারী ৬ জন, বিশেষ কোটায় অপূরণকৃত পুরূষ সংখ্যা ২৯৫ জন এবং নারীর সংখ্যা ৫৪ জন। টিআরসি’র পুরো সংখ্যাই কক্সবাজার জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের থেকে নিয়োগ দেয়ার কথা। কক্সবাজারে এ টিআরসি নিয়োগের জন্য কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম-কে প্রধান করে একটি নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার ১৯/২০ দিন আগে থেকে এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম টিআরসি নিয়োগ পেতে কোন দালাল, ফড়িয়া, প্রতারককে ঘুষ নাদিতে গণমাধ্যম, মাইকিং, লিফলেট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, সভা-সেমিনারে ব্যাপক প্রচারনা চালান। আগ্রহী প্রার্থীদের শুধুমাত্র ১০০ টাকা চালানের মাধ্যমে নির্ধারিত কোড নম্বরে সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়ে এবং ৩ টাকায় আবেদন ফরম ক্রয় করে অর্থাৎ সর্বমোট ১০৩ টাকা ব্যয় করে, আর কোন খরচ ছাড়া সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে টিআরসি নিয়োগ পাওয়া যাবে মর্মে বার বার ঘোষনা দেন। যদি কেউ প্রতারক বা দালালের মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে টিআরসি নিয়োগ পাওয়ার অপচেষ্টা করে, তাহলে দালাল ও প্রার্থীকে কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে বলে এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম হুশিয়ারী দিয়েছিলেন। একই ঘোষনা তিনি বার বার দিয়ে দৃঢ়তার সাথে বলেছেন-দুর্নীতি করে কেউ চুড়ান্ত নিয়োগ পেলেও সে নিয়োগ প্রমাণ সাপেক্ষে বাতিল করা হবে। সেটা নিয়োগের যে কোন পর্যায়ে হোক না কেন, ঘুষ দিয়ে কনস্টেবল নিয়োগের কোন তথ্য পাওয়া গেলে, তা কোন অবস্থাতেই বরদাস্ত করা হবেনা। এজন্য কোন টিআরসি প্রার্থী কিংবা অভিবাবক যাতে প্রতারকের খপ্পরে না পড়ে, সেজন্য এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম নিজস্ব গোয়েন্দাও নিয়োগ দিয়ে নিয়োগ পুরো প্রক্রিয়াটি সার্বিক গোয়েন্দা নজরদারীতে রেখেছিলেন। এসপি এ.বি.এম মাসুদ হেসেন বিপিএম-এর ঘুষবিহীন মাত্র ১০৩ টাকা ব্যয়ে টিআরসি নিয়োগের ঘোষনা শুনে অনেকেই তখন হেসেছিল, ব্যাপারটি নেহায়েত ‘কথার কথা’ বলে মনে করেছিল, যেটা পুলিশ বাহিনীতে অসম্ভব বলে মনে করেছিল, লোক দেখানো প্রচারণা মনে করেছিল। কিন্তু দৃঢ় আত্ম প্রত্যয়ী কক্সবাজারের স্বনামধন্য পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম-এর যেমন কথা-তেমন কাজ। তিনি প্রাণান্ত চেষ্টা করেছেন টিআরসি নিয়োগ প্রক্রিয়াটিকে সর্বাগ্রে ও শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত, প্রভাবমুক্ত, রাজনৈতিক চাপমুক্ত ও ঘুষমুক্ত রাখতে। তিনি তাঁর দেয়া ওয়াদা থেকে চুল পরিমাণও শেষপর্যন্ত বিচ্যুত হননি। এ টিআরসি নিয়োগ কার্যক্রমের প্রক্রিয়া শুরু হয় গত ২৬ জুন কক্সবাজার পুলিশ লাইন্সে আগ্রহী প্রার্থীদের শারীরিক মাপ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে। এদিন ৩৮৬ টি পদের অনুকূলে দেড় সহস্রাধিক আগ্রহী প্রার্থী অংশ নিয়ে ৭৫৩ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিল। পরদিন ২৭ জুন কক্সবাজার শহরের বিমানবন্দর সড়কের কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ ও সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে উত্তীর্ণদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার ১ জুলাই পুলিশ লাইন্সে প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে ৬১৯ প্রার্থী উত্তীর্ণ হয় এবং একইদিন উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার ২ জুলাই মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে ৩৮৬ জনকে টিআরসি হিসাবে নিয়োগ প্রদানের জন্য চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। নিয়োগের জন্য প্রকাশিত চুড়ান্ত ফলাফলের মধ্যে সাধারণ কোটা (পুরুষ) ৩৩৭ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা (পুরুষ) ৪ জন, পুলিশ পোষ্য কোটা (পুরুষ) ২ জন, আনসার ভিডিপি কোটা (পুরুষ) ১ জন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি কোটা (পুরুষ) ২ জন, সাধারণ কোটা (নারী) ৩৯ জন, পুলিশ পোষ্য কোটা (নারী) ১ জন সহ সর্বমোট ৩৮৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এছাড়া অপেক্ষামান তালিকায় আরো ৩৭ জনকে রাখা হয়েছে। অপেক্ষামানের মধ্যে সাধারণ কোটা (পুরুষ) ৩৬ জন ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টী কোটা (পুরুষ) ১ জন। এখানে চুড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পূরুষ সিবিএন-কে বলেছেন-তিনি শুধুমাত্র ১০৩ টাকা ব্যয় করে কনস্টেবল হিসাবে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি কোন দালাল বা অনৈতিক অর্থ লেনদেন করেননি। এটা ছিল, তারজন্য চিন্তার বিপরীত বিষয়। যেটা তার কল্পনাকেও হার মানিয়েছে। চুড়ান্ত নির্বাচিত হওয়া আর একজন মহিলা কনস্টেবল সিবিএন-কে বলেছেন, ১০৩ টাকা দিয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পাওয়া তার জন্য একটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটাই দিবালোকের মতো সত্য। এ মহিলা কনস্টেবল সিবিএন-কে আরো বলেন, এ নিয়োগে আমি যেন আকাশের চাঁদটা হাতে পেয়েছি। প্রেরণা ও প্রত্যয়ে সমৃদ্ধ হয়েছি। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। তার মতে, এসপি স্যার সহ কক্সবাজার জেলা পুলিশ মাত্র ১০৩ টাকায় সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত কনস্টেবল নিয়োগ দিয়ে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত টিআরসি নিয়োগের ব্যাপারে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সৈকত সম্পাদক মাহবুবর রহমান সিবিএন-কে বলেন-পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সরকার আন্তরিকভাবে চাইলে যে কোন ক্ষেত্রে দুর্নীতিমুক্ত হওয়া যায়, সেটার একটা উজ্জ্বল প্রমান হচ্ছে,কক্সবাজার জেলা পুলিশের টিআরসি নিয়োগ প্রক্রিয়া। এ নিয়োগে স্বচ্চতা থাকায় কক্সবাজার জেলার যোগ্য ও মেধাবীরা টিআরসি হিসাবে নিয়োগ পেয়ে মূল্যায়িত হয়েছে। কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এপিপি এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ সিবিএন-কে বলেন, টিআরসি নিয়োগে এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম-এর দৃঢ়তা কক্সবাজার জেলাবাসীর মাঝে ব্যাপক আশার সন্ঞ্চার করেছে। এধরনের সৎ, যোগ্য, নির্লোভ ও মনোবল সম্পন্ন পুলিশ অফিসার নিঃসন্দেহে দেশের সম্পদ ও আইকন উল্লেখ করে এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ সিবিএন-কে আরো বলেন-এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম কক্সবাজারে যোগদানের পর থেকে কক্সবাজারে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পস্থিস্থিতির লক্ষনীয় উন্নতি হয়েছে এবং তাঁর কার্যক্রম সবার কাছে প্রশংসিত হচ্ছে। কক্সবাজার জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি এডভোকেট
দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু সিবিএন-কে বলেন, তদবির, সুপারিশ, ঘুষ বাণিজ্য ছাড়া ও চাপমুক্ত কক্সবাজারে টিআরসি নিয়োগ দিয়ে কর্মপাগল এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম একটা নজীর সৃষ্টি করেছেন। তিনি সিবিএন-কে আরো বলেন, নৈতিকতার শক্তি ও সততা দিয়ে তিনি যে কাজ করে যাচ্ছেন, সেটা পুলিশ বাহিনীর জন্য অনুকরণীয় ও পুলিশ বাহিনীর হৃত গৌরবময় অর্জন ফিরে পেতে সহায়ক হবে। এডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু সিবিএন-কে আরো বলেন, এ ধরনের পুলিশ অফিসারদের রাষ্ট্রীয় কাজকর্মে অগ্রাধিকার দিলে ও কাজের জন্য পুরস্কৃত করলে তাদের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ রক্ত সন্ঞ্চালন হবে। নাইক্ষ্যংছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন এ বিষয়ে সিবিএন-কে বলেন-ঘুষ দিয়ে কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেলে, সে কনস্টেবল ঘুষের টাকা উঠানোর চেষ্টায় নীতিহারা হয়ে যায় এবং ক্রমান্বয়ে সে পুলিশের একজন অসাধু সদস্যে পরিণত হয়। তাতে পুলিশের ইমেজ নষ্ট হয়। তিনি বলেন, এবারের টিআরসি নিয়োগে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও ঘুষমুক্ত থাকায় নিয়োগপ্রাপ্তরা সততা, নৈতিকতা ও পেশাদারিত্ব দিয়ে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হবে।

টিআরসি নিয়োগ নিয়ে সিবিএন-এর কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম বলেন-টিআরসি নিয়োগে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও সততা রক্ষার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। কতটুকু সফল হয়েছি, তার বিচারের দায়িত্ব কক্সবাজার জেলাবাসীর উপরই থাকল। তিনি সিবিএন-কে বলেন-যারা টিআরসি হিসাবে চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তারা সম্পূর্ণ মেধা, যোগ্যতা ও নিয়োগের নীতিমালা অনুসারে নিয়োগ পেয়েছেন। তবে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি আমার একার পক্ষে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা কখনো সম্ভব হতোনা, যদি কক্সবাজার জেলা পুলিশের সকল কর্মকর্তা ও সদস্য, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আসা পুলিশ কর্মকর্তা, ভিন্ন জেলা থেকে আসা পুলিশ কর্মকর্তা, জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ, সৈকত উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিক সহযোগিতা না করতো। এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম সিবিএন-কে বলেন-কথা দিয়ে কথা রাখার চেষ্টা করেছি। আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম-এর অনুপ্রেরণা ও চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়ায় এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম তাঁদেরকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম সিবিএন-কে আরো বলেন, যারা নিয়োগের জন্য চুড়ান্ত হয়েছে তাঁরা বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা, দেশপ্রেম, সততা, আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে পুলিশ বাহিনীতে দায়িত্বপালন করবেন বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।তাদেরকে নিয়ে পুলিশ বাহিনী যোগ্য ও মেধাবীদের অংশগ্রহণে আরো সমৃদ্ধ হবে। অন্যদিকে, আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেধাবী, দক্ষ ও যোগ্য সদস্য পাবে। কারণ, তাদেরকে কোন অনৈতিক ও বৈষয়িক ঝামেলা পোহাতে হয়নি। তিনি বলে নিয়োগের জন্য চুড়ান্ত উত্তীর্ণরা প্রায় সকলেই নিম্নবিত্ত ও নিম্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। যারা নিয়োগের জন্য প্রকৃত হকদার। তিনি গণমাধ্যম সহ টিআরসি নিয়োগে আরো যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাদেরকেও ধন্যবাদ জানান এবং টিআরসি হিসাবে চুড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের কক্সবাজার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে স্বাগত জানান।