এম.মনছুর আলম ,চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় জনপদ বদরখালী ইউনিয়নে খেলাধুলারত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠ দখলের চেষ্টা করে স্থানীয় একটি দুর্বৃত্ত চক্র। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিদ্যালয় মাঠে ঢুকে চালানো হামলায় এক শিক্ষিকা ও অভিভাবকসহ ৭ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা নাহিদা সুলতানা (৩৬), অভিভাবক ইসমাইল (২৯) এবং সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মোরশেদ আলম ও আব্দুল্লাহ আল মোহম্মদ সাবিত, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ মামুন। আহতদেরকে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠ দখলের চেষ্টায় মানু নামে এক নারীর সঙ্গে হামলায় অংশ নিয়ে ছাত্রদের উপর চড়াও হন স্থানীয় টুটিয়াখালী পাড়ার বাসিন্দা মৃত ছৈয়দ আহমদ আন্টুর ছেলে মোহাম্মদ হোছাইন ও তার স্ত্রী শাহানা বেগম, আমির হোছাইন ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম, নুরুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা বেগম ও হাজেরা বেগমসহ অন্তত ১২ জন। ওইদিন তাদের অতর্কিত হামলা ও ইট পাটকেল নিক্ষেপে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। পরে তারা হামলা প্রতিহত করে।

বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট লোকজন অভিযোগ তুলেছেন, হামলার ঘটনায় এখন উল্টো হামলাকারীরাই স্কুল প্রতিষ্ঠাতাসহ ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয়তুন নাহার মানু বাদি হয়ে গত শনিবার চকরিয়া থানায় একটি মিথ্যা ঘটনা অবতারনা করে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। তারপর থেকে এটি মামলা হিসেবে নেওয়ার জন্য থানায় নানাভাবে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। অবশ্য এ বিষয়ে আগের দিন শুক্রবার স্কুল শিক্ষিকা নাহিদা সোলতানা বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় ৭ হামলাকারীর বিরুদ্ধে এজাহার জমা দেন।

আহত শিক্ষিকা নাহিদা সোলতানা বলেন, ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ছাত্র-ছাত্রীরা ফুটবল ও ক্রিকেট খেলছিল। এমন সময় জয়তুন নাহার মানুসহ অন্তত ১২ জন নারী-পুরুষ লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৭ জন আহত হন।

এদিকে অভিযুক্ত নারী জয়তুন নাহার মানুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালিয়ে এক পর্যায়ে ফোনের সংযোগ কেটে দেন। ফলে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।

চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) এসএম আতিক উল্লাহ বলেন, বদরখালী ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলার ঘটনার জেরে দুইপক্ষের কাছ থেকে থানায় লিখিত এজাহার জমা দেওয়া হয়েছে। দুইটি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে ঘটনায় যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা আছে সেইজন্য দুইপক্ষকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সুষ্ঠভাবে সমাধানের চেষ্ঠা চলছে। #