নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রামুতে মোঃ মোমেন (২০) নামের টমটম চালককে অপহরণ করে নিয়ে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ করেছে। গত ১১ জুন সন্ধ্যায় রামু বাইপাস থেকে অপহৃত টমটম চালক দুই সপ্তাহ পার হলেও উদ্ধার হয়নি। বরং গোপন জায়গায় তাকে আটকে রেখে চালানো হচ্ছে নির্যাতন। গোপন টর্চার সেলে আটকে রেখে মারধরের চিৎকারের আওয়াজ শোনানো হচ্ছে স্বজনদের। এমনকি দাবিকৃত টাকা না পেলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে অপহরণকারীরা। ভিকটিম মোঃ মোমেন রামু ফতেখাঁরকুল ৪ নং ওয়ার্ডের মন্ডলপাড়ার আবদুস শুক্কুরের ছেলে।
এদিকে, মোঃ মোমেনকে উদ্ধারের সহযোগিতা চেয়ে ২৭ জুন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন ভিকটিমের ছোট বোন কলেজ ছাত্রী কামরুন্নাহার। মামলার প্রেক্ষিতে আগামী ৭দিনের মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধারপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দিতে রামু থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক দেলোয়ার হোসাইন। মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম লিটন (৩০) একই এলাকার ওয়াহেদুল আলমের ছেলে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরো ৩/৪ জন। বাদীর পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী মোঃ আব্দুল মন্নান।
ভিকটিমের ছোট বোন ও মামলার বাদী কামরুন্নাহার জানিয়েছেন, তার বড় ভাই মোঃ মোমেন একজন টমটম চালক। তিনি পরিবারের একমাত্র চালিকাশক্তি। গত ১১ জুন সন্ধ্যা বেলায় একদল অপহরণকারী জোরপূর্বক সিএনজিতে করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে বিভিন্ন মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। জীবিত ফেরত পাওয়ার আশায় ৭০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করেন। তবু ছেড়ে দেয়নি। দাবীকৃত টাকা না দিলে তার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। উদ্ধারের সহযোগিতা চাইতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ উল্টো আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
একমাত্র উপার্জনক্ষম ভাইটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ায় পুরো পরিবারের মাঝে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে বলে জানান ছোট বোন কামরুন্নাহার। ভিকটিমকে খুন করে লাশ গুমের আশঙ্কা করছে স্বজনেরা। তিনি যে কোনো মূল্যে ভাইকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে রামু থানার ওসি মুহাম্মদ আবুল মনসুরকে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।