মোহাম্মদ রেদোয়ান :
আমাদের প্রত্যেকের লাইফে সফলতার জন্য একটা Jump দেওয়ার প্রয়োজন আছে; আমি ফিজিক্যালি লাফ দেওয়ার কথা বলিনি, আমি মেন্টালি লাইফে সফলতার সিড়িতে Jump দেওয়ার কথা বলেছি!
আফসোস….আমরা অনেকেই অলসতার কারণে এই লাফ’টা দিতে কৃপণতা করি নয়তো ভীতুর ডিমের মতোন লাইফের একই স্টেইজে পড়ে থাকি (আমরা দিবাস্বপ্নের মতোন কল্পনা করি একদিন আপনা আপনি লাইফে U টার্ন আসবে অথচ চিরন্তনী সত্যটা ভুলে যাই যতোক্ষন না পর্যন্ত You টার গদবাধা মেন্টালিটির পরিবর্তন হবে ততোক্ষণ পর্যন্ত আপনি কখনোই সফল হতে পারবেন না)!!!

আমরা যে একদমই Jump করতে পারি না এমনটাও নয় (এই যেমন হয়তো আপনি কারো মুখে শুনলেন অমুকে ইন্টারনেটে ইনকাম করে বড়লোক হয়ে গিয়েছে, অমনি আপনি পকেটের টাকা খসিয়ে দুই এক জায়গায় আউটসোর্সিং কোর্স করে শেষমেশ হতাশ হয়ে “আমারে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা….” ভেবে মুখ ফুলিয়ে বসে রইবেন) আসলে আমরা লাইফের বর্তমান স্টেইজে ডেস্টিনেশন ছাড়াই উচুতে লাফ দিয়ে ভাবি “এইতো আমি সফলতার চূড়া ছুয়ে ফেলেছি” কিন্তু চিরায়ত অভিকর্ষ আপনাকে আবারও মাটিতে নামিয়ে নিয়ে আসে; লাইফে সফলতা পেতে এই সামান্য সায়েন্টিফিক নলেজটুকু না থাকলে ক্যামনে কি??!

আমি সফলতার ১ম শর্তটা বলে দিচ্ছি….

“ডেস্টিনেশন ছাড়া লাইফের সিড়িতে উচুতে Jump দিবেন না বরং নির্দিষ্ট টার্গেট করে সামনের দিকে Jump দিবেন”

আমাদের লাইফের সফলতার পথের সবচেয়ে বড় বাধা হলো আমাদের সস্তা মেন্টালিটি!
আমরা “নোয়াখালী” নামটা শুনলেই হেসে ফেলি অথচ নোয়াখালীকে নিয়ে হাসাহাসি করার কারণটা পর্যন্ত জানি না, ইভেন জানতেও চাইনা….
(আমরা হলাম সেই তৃতীয় পাগল যে “লোকে হাসে তাই আমিও হাসি” জাতের উৎকৃষ্ট কোয়ালিটির আহম্মক)!

লাইফে সফলতার ২য় শর্ত হলো….

“সস্তা সাইকোলজি ত্যাগ করুন, ব্রেইনকে ব্রাইট করুন”।

“মন খারাপ হওয়া” কিংবা “ভাল্লাগেনা” নামক রোগের আসল কারণ হলো অলসতা; আপনি যদি সারাদিন কাজের মাঝে ডুবে থাকেন তাহলে মন খারাপ হওয়ার সময়টাই খুজে পাবেন না, আর “বিশ্রাম” শব্দটা কেবলমাত্র পরিশ্রম করা মানুষটার জন্যই সাজে তাই সারাদিন বসে না থেকে কিভাবে Boss হওয়া যায় সেইটা চেষ্টা করুন…..তথাপি একান্তই ধনীর দুলাল/ননীর পুতুল হলে শারীরিক শ্রম এড়িয়ে “বই পড়ুন” তাতে অন্তত মাথার ব্রেইনটা সচল রইবে।

সুতরাং সফলতার ৩য় শর্ত হলো….

“অলসতা ত্যাগ করে কিছু একটা করুন, কিছু একটা হলো সেই জিনিস যা আপনার ব্রেইনটাকে সতেজ এবং সচল রাখবে”

আমরা স্বপ্ন দেখতে ভয় পাই; আমি একদিন Google এ জব করবো কিংবা NASA তে স্যাটেলাইট নিয়ে গবেষণা করবো এমনি স্বপ্নগুলা আমরা হেসে উড়িয়ে দিই; এই বিচ্ছিরি স্বভাবটাই আপনার লাইফে সফলতার আলোক বিচ্ছুরণ হতে দেয়না।
“তুমি যদি পারো তবে আমি কেন পারবো না?!” এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মানসিক সক্ষমতা যতোদিন না আপনার ভেতরে তৈরী হবে ততোদিন আপনি কুণোর ব্যাঙ হয়ে কুয়োতেই পড়ে রইবেন!

সফলতার ৪র্থ শর্ত হলো….
“স্বপ্ন দেখতে শিখুন”

আমরা সবাই কিন্তু অজান্তেই একটা “সার্কেল লাইফ লীড করি” এই যেমন সকালবেলা ঘুম হতে উঠে স্কুল/কলেজ/অফিস শেষে রাতে আবার বিছানায় শুয়ে পড়ি। এটা হলো শয়তানের সার্কেল কেননা এই সার্কেল আপনাকে লাইফে নতুন কিছু ভাবতে কিংবা করতে বাধা দেয়; আপনার জীবনটা শুধুমাত্র গতানুগতিক ধারায় “এইতো….আরকি” বলে কাটিয়ে দেওয়ার জন্য পয়দা হয়নি, প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু করার টার্গেট নিয়ে এগিয়ে চলুন।

সুতরাং সফলতার ৫ম শর্ত হলো…..

“প্রতিদিন লাইফে নতুন কিছু করার সংকল্প গ্রহন করুন”

সবিশেষ এটাই বলবো আপনি হয়তো একজন ডাক্তার তাইবলে ছোট্ট একটা ক্যাপসুলের মাঝে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখবেন না; আপনি হয়তো একজন স্টুডেন্ট তাইবলে স্টুপিডের মতোন বই খাতাতেই লাইফ সীমাবদ্ধ করে রাখবেন না; আপনি হয়তো এমপ্লী তাইবলে জবের মাঝেই লাইফের স্বপ্নবাতি অফ করে রাখবেন না……ইউ আর এ হিউম্যান; এ্যাট লিস্ট আল্লাহ সবার ভেতরেই কমবেশি ইন্টেলিজেন্স পাওয়ার দিয়েছে, সেটাকে কাজে লাগান নয়তো কখনোই সফলতার স্বপ্নচূড়ায় পৌঁছাতে পারবেন না!!!!
সফল আপনাকে হতেই হবে এই মনমানসিকতা নিয়ে সামনে এগিয়ে চলুন সফলতা আপনার হতেই হবে। আপনি ইসলামের ইতিহাস/ সমাজ বিজ্ঞান/ বাংলা নিয়ে পড়েন আপনার মাথায় থাকতে হবে আমি বিসিএস দিবো! আমি পি এইসডি ডিগ্রি করবো আমি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করবোই এই মনোভাব নিয়ে সামনে এগিয়ে চলুন সফলতা আপনারই আপনি বিশ্বাস করুন আপনিই পারবে। শুধু দরকার আপনার ইচ্ছা শক্তি আর চাহিদা অনুযায়ী কঠোর পরিশ্রম। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য আপনি নিশ্চয়ই জাতিকে কিছু উপহার দিবেন। ( ইনশাআল্লাহ)