এম মনছুর আলম-চকরিয়া :

ঢাকায় ডিবি পরিচয়ে চকরিয়ার ইঞ্জিনিয়ার আরিফ মঈনুদ্দিন (৩৮) অপহরণের চার মাস পরেও উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় তার পরিবারে চলছে আহাজারী। আরিফ ঢাকা ব্যাংকের আইসিটি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। আরিফ মঈনুদ্দিনের গ্রামের বাড়ি চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়াঘোনা মাস্টারপাড়ায়। তার পিতা একজন মুক্তিযোদ্ধা। আরিফ ঢাকার হাজারীবাগ থানাস্থ ঝিগাতলায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

সোমবার দুপুরে চকরিয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরিফের পিতা মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ বিএসসি কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে আরিফ মঈনুদ্দিনকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে শিশূুপুত্র আহনাফকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকাস্থ ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালের সামনে পৌছলে তার ব্যবহৃত কারগাড়ি থামিয়ে দরজা খুলতে বলে। দরজা খোলার পরপর ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়া ৪/৫জন লোকের মধ্যে ২জন লোক চালককে নামিয়ে দিয়ে কার গাড়িতে উঠে পড়ে। পরে চালককে তাদের বহনকারী অন্য একটি গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে গাড়ি দুটি মোহাম্মদপর বেড়িবাঁধ এলাকায় নিয়ে যায়। বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌছার পর আরিফের শিশুপুত্র আহনাফ ও কারগাড়ির চালককে ছেড়ে দিলেও আরিফকে অপহরণ করে অজানার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় আমার ছোট ছেলে মেহেদি হাসান বাদী হয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নং ৮৩৮/২০১৯) দায়ের করেন। পুলিশ অপহরণের কোন ক্লু উদঘাটন করতে না পারায় অবশেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতে একটি অপহরণ মামলা (২৩০/২০১৯) দায়ের করা হয়।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করে বলেন, আরিফকে অপহরণের দুইমাস পূর্বে তার স্ত্রী লাইলা পারভীন ও কন্যা সন্তান আরিবা নওমীকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে অজানাস্থানে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আরিফ বাদী হয়ে তার ভায়রা বিএনপি নেতা মেজর (অবঃ) মিজানুর রহমান ও স্ত্রীর বড় ভাই ডাঃ তারেকের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার জের ধরে আমার ছেলেকে অপহরণ করে জিম্মী করা হয়েছে।

আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আমার আকূল আবেদন, আমার ছেলে, পুত্রবধু ও নাতনিকে উদ্ধারপূর্বক দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।