আল জাবের

চকরিয়া উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নের ৩নং নম্বর ব্লকের ২০ গ্রামের জনসাধারণ ১৫ বছর ধরে সংস্কার ও উন্নয়নের অভাবে গ্রামীণ অভ্যান্তরীণ বদরখালী ফেরীঘাট টু দক্ষিণ মাথা ফিশারীঘাট সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের খামখেয়ালিপনা ও দায়িত্বহীনতার অভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ এসড়কটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ায় প্রায় ২ হাজার পরিবারের জনসাধারণকে চরম ভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ ছাড়া দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে সড়কের ভাঙ্গনসহ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে ওই এলাকার ৫টি গ্রামের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীদের যানবাহন যাতায়াত করতে পারছে না। বর্ষাকাল আসার পূর্বে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলাচল অনুপযোগী সড়কটি অবিলম্বে সংস্কার করার জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।

সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উপকূলীয় সমুদ্রতীরবর্তী মহেশখালী চ্যানেলের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন হচ্ছে বদরখালী ইউনিয়ন। ৬০ হাজার জনগোষ্ঠি নিয়ে ৩টি ব্লকে বিভক্ত এ ইউনিয়নটি। তৎমধ্যে ৩ নম্বর ব্লকে রয়েছে পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড, ৫নং ওয়ার্ড,৬নং ওয়ার্ড ও ৯নং ওয়ার্ড । ৩ নম্বর ব্লকে ইউপি’র ৪টি ওয়ার্ড রয়েছে ।উক্ত ৪ওয়ার্ডে প্রায় ২ হাজার পরিবার হয়েছে। ঐ সড়কে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে একেবারে উন্নয়ন বঞ্চিত। প্রায় ২ হাজার পরিবার ও ২৫ হাজার জনগোষ্ঠির জনগুরুত্বপূর্ণ যাতায়াতের একমাত্র বদরখালী ফেরীঘাট টু দক্ষিণ মাথা সড়কটি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকে। পার্শ্ববর্তী মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জে.এম এলাকার মানুষ পারাপার কেয়াঘাট দিয়ে বদরখালী বাজারের সাথে ওই সড়ক এক মাত্র যাতায়াতের মাধ্যম। কিন্তু স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের খামখেয়ালি ওদায়িত্বহীনতার অভাবে সড়ক চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বদরখালী ইউনিয়নের ৩নম্বর ব্লক ফেরীঘাট টু দক্ষিণ মাথা সড়ক দিয়ে প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে ৪নং ওয়ার্ডের টুটিয়াখালী পাড়া, খালবাচা পাড়া, বাজার পাড়া, ৫নং ওয়ার্ডের লম্বাখালী পাড়া ,আজমনগর পাড়া, দাতিনাখালী পাড়া, মগনামা পাড়া, ৬নং ওয়ার্ডের মহুরীজোরা পাড়া, মগনামা পাড়া ,৯নংওয়ার্ডের দক্ষিণ পুকুরিয়া পাড়া ,মামা-ভাগিনা পাড়ার বাসিন্দারা যাতায়াত করে আসছে। দীর্ঘ সময় ধরে সড়কের মধ্যখানে এপ্রোজের মাটি সরে যাওয়ার ফলে জনগণের যাতায়াত করা মুলত ভোগান্তিতে

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আজও কোন ধরণের কোন সংস্কার ও উদ্যোগ নেইনি। এ সড়কটি বর্তমানে যাতায়াত ও যান চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পথচারীদের চলাচল ও যানবাহন যাতায়াত এক প্রকার বন্ধ বললেই চলে। এখানকার স্থানীয় গ্রামবাসী জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শত শত ছাত্র-ছাত্রী আসা যাওয়া করে।

এছাড়াও অত্র ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বদরখালী বাজারে যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বদরখালী কলেজ, বদরখালী কলোনিজেশন উচ্চ বিদ্যালয়, বদরখালী এমএস ফাজিল মাদ্রাসা ও আশ পাশের সরকারী এবং বেসরকারী দ্বীনই প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের জন্য এ সড়কটি সংস্কার অত্যান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। সড়কটি চলাচল অকজো হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
বদরখালী ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর আব্দুল্লাহ আল্ মামুন জানান, প্রতিবর্ষার মৌসুমে ২০ গ্রামের শিক্ষার্থীরা সড়ক দিয়ে যাতায়াতের জন্য খুবই দুষ্কর হয়ে পড়ে। রাস্তার দু’ধারে বিলীন হয়েগেছে ইট। যেন রাস্তার অস্তিত্ব ও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক কিলোমিটারের পথ এখন দুই কিলোমিটার ফাঁড়ি দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে হয়।

এ ব্যাপারে বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল বশরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় (এলজিইডি) বিভাগের অধিনে সড়কটি কাজ করে সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যর্থতার কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি আজ বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।
পরিকল্পিত ভাবে উন্নয়ন না হওয়ায় ও সুষ্ঠ তদারকির অভাব এবং প্রশাসনের চরম ব্যর্থতার কারণে গ্রামীণ এ সড়ক উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। তাই এ ব্যাপারে চকরিয়া-পেকুয়া জাতীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ২০গ্রামের বাসিন্দা ও সচেতন মহল।