প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
ব্যতিক্রমী চিকিৎসা সেবার প্রতিষ্ঠান হোপ ফাউন্ডেশন তাদের কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে চলছে। মানবতার সেবায় নিয়োজিত এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিয়ে দেশে-বিদেশে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। রামু চেইন্দাতে অবস্থিত হোপ হসপিটাল কক্সবাজার বিশাল অঞ্চলের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেছে। বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এই হসপিটালের পাশপাশি হোপ ফাউন্ডেশন জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডেলিভারি সেন্টার ও মেডিকেল সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় এবার কক্সবাজার সদরের খুরুশ্কুলে যাত্রা করলো আরো একটি বার্থসেন্টার। গতকাল শুক্রবার (২১ জুন) খুরুশ্কুলের কাওয়ার পাড়ায় এই বার্থ সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।

এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- হোপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ডা. ইফতিখার মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন- আন্তজার্তিক মিডওয়াইফ ইরিন রিয়ান ও ক্যান্ডেস ডুরান, হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএম জাহিদুজ্জামান।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- চীফ মেডিকেল অফিসার মোঃ ইসমাঈল, সিনিয়র ম্যানেজার শওকত আলী, ডেলিভারি সেন্টার কোÑঅর্ডিনেটর আজমুল হুদা, স্থানীয় সমাজসেবক ডা. জাহাঙ্গীর আলম লিটন ও সমাজসেবক গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী। এছাড়াও হোপ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হোপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ডা. ইফতিখার মাহমুদ বলেন, ‘নি¤œ ও মধ্যবিত্তের মানুষ বিশেষ করে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যেসেবার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০ বছর আগেই যাত্রা করেছিল হোপ ফাউন্ডেশন। সেই থেকে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের ঘাটতি পূরণে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। খুরুশ্কুলেও মাতৃ স্বাস্থ্য; বিশেষ করে ডেলিভারি মায়েদের সেবার ঘাটটি পূরণ করতে এই ডেলিভারি সেন্টারটি স্থাপন করা হয়েছে। ডেলিভারি সেন্টার স্থাপনে জায়গা দিয়ে এই মহান কাজে সহযোগিতা করার জন্য সমাজসেবক ডা. জাহাঙ্গীর আলম লিটনকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এই সেন্টারটির অগগ্রতির জন্য স্থানীয়দের সহযোগিতা কামনা করছি।’

হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএম জাহিদুজ্জামান বলেন- ‘হোপ ফাউন্ডেশন জেলার দুর্গম এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাতৃসেবার নিশ্চিত করার জন্য আগেই ছয়টি ডেলিভারি সেন্টার স্থাপন করেছে। এই ধারবাহিকতায় ১০ বছর আগে স্থাপিত খুরুশ্কুলের হোপ মেডিকেল সেন্টারকে ডেলিভারি সেন্টারে উন্নিত করা হলো। এর মাধ্যমে শুধু খুরুশ্কুল নয়; পার্শবর্তী অন্যান্য ইউনিয়ন থেকেও এসে সেবা নেয়া যাবে। এই ডেলিভারি সেন্টারে রাতদিন ২৪ ঘন্টা দক্ষ মিডওয়াইফ দ্বারা গর্ভবতী সংক্রান্ত সমস্ত সেবা ও নরমাল ডেলিভারি করা হবে। এছাড়াও ক্রিটিক্যাল রোগীদের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হবে। এই প্রতিষ্ঠানটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য আমরা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা কামনা করছি।’

স্থানীয় সমাজসেবক সমাজসেবক গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘এমন প্রত্যন্ত গ্রামে এমন মানসম্মত ডেলিভারি সেন্টার স্থাপন করে মাতৃসেবা নিশ্চিত করায় হোপ ফাউন্ডেশনকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এর মাধ্যমে আমাদের অনেক উপকার হবে। আমরা কথা দিচ্ছি, এই সেন্টারের অগ্রগতির জন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতা থাকবে।’