নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজারে হোটেল মোটেল জোন এলাকায় সদ্য বাতিল হওয়া প্লট রাতের আঁধারে দখল হয়ে যাচ্ছে। টিনের ঘেরাবেড়া দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ চালানো হচ্ছে। নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়া একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। এতেকরে সরকারের কোটি টাকার জমি বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সুত্র জানিয়েছে, জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্লটের ইজারা বাতিলের বিরুদ্ধে পূর্ব ইজারাপ্রাপ্ত মালিকেরা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করে। এই সুযোগে দখলবাজচক্র কোটি টাকার সরকারী জমি নিজেদের অনুকূলে নেয়ার মিশন শুরু করেছে। বিশেষ করে বাতিলকৃত ৩৭ নম্বর প্লটটি দখলে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার মুক্তার জানান, ইজারা বাতিলকৃত প্লটের জায়গা কাউকে জবর দখল করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তিনি জানান, বাতিলকৃত প্লটের জায়গা পরিমাপ করে দেখা হবে। পরিমাপের পর ব্যক্তি বিশেষ প্লটের জায়গা দখলে নেয়ার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হোটেল মোটেল জোনে ইজারা মালিকদের প্রায় ৯৭ টি প্লট বাতিলের সুপারিশ করে প্লটসমূহে জেলা প্রশাসকের পক্ষে লাল সাইনবোর্ড দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।
এই প্লটের পেছনের প্লটে নিমানাধীন থ্রি ষ্টার মানের হোটেল গ্রীন নেচারের মালিক চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন বলে জানা যায়। এই প্লটের মালিক স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যু মাস্তান দিয়ে ইজারা বাতিল করার সুযোগে ৩৭ নম্বর প্লটের পূর্ব পাশের প্রায় ২০ শতক জায়গা রাতের আঁধারে টিনের বেড়া দিয়ে দখল করে নেয়।
৩৭ নম্বর প্লটের কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, রাতের আঁধারে ওমর কাজী, গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র দখলবাজ ভেড়া ভেড়া দেয়া শুরু করে। গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয় নির্মাণ সামগ্রী।
এস এম আল মামুনের ফোন নাম্বার চাইলে তিনি এখন দেশের বাইরে আছেন বলে জানান দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার আলী হোসেন।
ইজারা বাতিল প্লটে টিনের বেড়া দিয়ে দখল ও মাটি ভরাটে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমোদন বিষয়ে গিয়াস উদ্দিনের ফোনে যোগাযোগ করলে ইজারা বাতিলকৃত ৩৭ নম্বর প্লটের পূর্ব পাশের প্লটের নির্মাণ সামগ্রী আনার সময় দেওয়াল হেলে পড়ে বলে জানান।
তার মতে, ৩৭ নম্বর প্লটের পূর্ব পাশের দেওয়াল ভেঙে গেছে। পূর্ব পাশের প্লটের নির্মাণ সামগ্রী সংরক্ষণ করার জন্য টিনের বেড়া ও কিছু অংশ আরসিসি প্লিলার দেয়া হয়েছে।
তবে, গিয়াস উদ্দিনের বক্তব্য আর সরজমিনের চিত্র ভিন্ন বলে মনে হয়েছে।
৩৭ নম্বর প্লটের উত্তর পাশের দেওয়াল ভেঙে একাংশে বাহির থেকে মাটি এনে ভরাট করে প্রায় দীর্ঘ ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৫ ফুট প্রস্থের একটা রাস্তা নির্মাণ করছে দেখা যায়। দখলকৃত প্লটের পূর্ব পাশের যে প্লটের নিমানাধীন হোটেলটি কউকের ইমারত নির্মাণ বিধিমালা মেনে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হয়নি।
বিশাল ভবনের প্রশস্ত রাস্তা ও সামনে পেছনে আশে পাশে কোন প্রকার খালি জায়গা রাখা হয়নি। নির্মিত ইমারতের চার দিকে নিয়মনীতি মতো সেটব্যাক রাখা হয়নি।