আল-জাবের:

কক্সবাজারের প্রবেশপথ চকরিয়া, চকরিয়া উপজেলার সুন্দরবন খ্যাত মাতামুহুরি অঞ্চল। এ মাতামুহুরীর ৭ ইউনিয়ন নিয়ে নতুন মাতামুহুরি উপজেলা বাস্তবায়ন বিষয়ে সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, ‘সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন চলাকালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ৭১ বিধিতে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে মাননীয় স্পিকারের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য রেখেছিলাম। পরবর্তীতে নোটিশ এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই পরিপত্র জারি করা হয়েছে। জাফর আলম বলেন, ‘আমার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল উপকূলীয় সাত ইউনিয়নের মানুষকে মাতামুহুরী নামে নতুন একটি উপজেলা উপহার দেব। এরই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে উপজেলা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়ে গেছে। পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়ে গেলে, সরকারি সব বরাদ্দ আলাদা ভাবেই পাবে এই উপজেলা। যার সুফল ভোগ করবে এখানকার সাধারণ জনগন। ’

তারই ধারাবাহিকতায় মাতামুহুরী নতুন উপজেলা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বৃহত্তর বদরখালী ইউনিয়নের সকল পেশাজীবি ও সুশীল সমাজের মানুষ চকরিয়া- পেকুয়া গণমানুষের প্রিয়নেতা ও বর্তমান সরকারের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম কে স্বাগত জানান। মাতামুহরী সাংগঠনিক উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন হচ্ছে বদরখালী। উক্ত ইউনিয়নে রয়েছে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতি ,মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলার একমাত্র সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বদরখালী (ডিগ্রী) কলেজ,বদরখালী এম.এস ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা, ২টি উচ্চ বিদ্যালয়,৪টি দাখিল মাদ্রাসা, ১৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি কেজি স্কুল,৪১টি জামে মসজিদ,আরো রয়েছে সোনালী ব্যাংক শাখা বদরখালী, ইউনিয়ন ব্যাংক শাখা বদরখালী, ৪টি বে-সরকারী ব্যাংক ও অসংখ্যা এনজিও সহ জননিরাপত্তারত্বে নৌ-পুলিশ ও পুলিশ ফাড়ী ২টি গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রয়োগকারী সংঠগনের কার্যালয় এই বদরখালীতে অবস্থিত। মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলার বৃহত্তর বদরখালী বাজার।উক্ত বদরখালী বাজারে মাতামুহুরী ৭টি ইউনিয়নের জনসাধারণ নিত্তপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের জন্য প্রতিনিয়ত বদরখালী আসা-যাওয়া করেন ।বদরখালী ইউনিয়ন মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা ও উপকূলীয় অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন ও বার্ণিজ্যিক এলাকা । সম্প্রতি বুড়ামুহুরী নদীর উপর মহেশখালী-বদরখালী সেতু নির্মিত হওয়ায় উভয় উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় একটি শাখা বন্দরে রূপ নিয়েছে। উক্ত সেতু দিয়ে বদরখালী বাজারে মহেশখালী উপজেলা ও কুতুবদিয়া উপজেলার ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ দৈনিন্দিন বার্নিজ্যিক কাজে এসে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম করতে সক্ষম হয়। তাছাড়া একটি উপজেলার প্রশাসনিক ভবন ও অবকাঠামোগত নিমার্ণস্থল বদরখালীই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। কেন না সদ্যঘোষিত মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলার অধীনস্থ ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বদরখালী ইউনিয়ন অন্যতম ।
এখানে বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির একই পতাকাতলে মিলিত হইয়া শান্তি , শৃংখ্লা ও ভ্রাত্রিত্বের বন্ধনে প্রতিটি মানুষ অাবদ্ধ ।

এ বিষয়ে বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক এর কাছ থেকে জানতে চাহিলে তারা সরকারের পছন্দ অনুয়ায়ী উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের জন্য জায়গা দিতে প্রস্তুত আছে মর্মে জানান। তারা আরো জানান বদরখালীর প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত ৪টি ভবনের মধ্যে ১টি পানি উন্নয়ন বোর্ড,১টি টিএনটি অফিস,১টি খাদ্য গুদাম ও আই ডব্লিউ টি জরাজির্ণ ও নিষক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এই সমস্ত সরকারী কার্যক্রমে বদরখালী সমিতি আন্তরিক হইয়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করার জন্য ইতিপূর্বে ও জায়গা দিয়েছে মর্মে তোলে ধরেন।

চকরিয়া-পেকুয়ার মামনীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলমের নির্বাচনী ওয়াদা ছিল উপকূলীয় সাত ইউনিয়নের মানুষকে মাতামুহুরী নামে নতুন একটি উপজেলা উপহার দেবে। এরই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে আপনার আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় উপজেলা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়ে গেছে।উপকূলীয় অঞ্চলের জনবহুল ও বার্নির্জ্যিক এলাকা হিসেবে পরিচিত বদরখালীতে নতুন মাতামুহুরী উপজেলা প্রশাসনিক ভবন করার জন্য বদরখালীবাসীর প্রাণের দাবী।আপনি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় এমপি ও বদরখালীবাসীর অভিভাবক হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতের পরশে আর আপনার ম্যাজিকে বদলে যাবে মাতামুহরী,বদলে যাবে বদরখালী সেই প্রত্যাশায় বদরখালীবাসী।