ফারুক আহমদ, উখিয়া :

উখিয়ায় প্রসাশনের অনুমতি না নিয়ে অবৈধ ভাবে নলকূপ স্থাপনের কাজ করে যাচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সৌদি আরব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা অর্থ সংগ্রহ করে জালিয়া পালং ইউনিয়নের মধ্যম নিদানিয়া গ্রামের মাহামুুদুল্লাহ গোপনে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সচেতন মহলের আশংকা মধ্য প্রাচ্য থেকে বিশাল অর্থ সংগ্রহ করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা বাংলাদেশে পাচার করে এনে নল কূপ স্থাপনের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ চক্রটি।

জানা যায়, উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের মধ্যম নিদানিয়া গ্রামের মৃত হাজী নজির আহমদের পুত্র মাহামুদুল্লাহ গত কয়েক মাস ধরে অসংখ্য নল কূপ বিভিন্ন বাড়িতে স্থাপন করেছে। এ নল কূপ স্থাপনের নামে কি পরিমান টাকা বা অর্থ লুটপাট করা হয়েছে তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। প্রসাশনকে না জানিয়ে গোপনে কাজ করা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, সৌদি আরব থেকে বিশাল অংকের অর্থ সংগ্রহ করে তিনি এ কাজ করলেও তার আপর বড় ভাই শেখ আলিউল্লাহ নাটের গুরু। নল কূপের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সৌদি আরবে প্রেরণ করে মাহামুুদুল্লাহ। সৌদি আরবে আবস্থানরত বড় ভাই উক্ত ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে এ সব অর্থ সংগ্রহ করে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে বাংলাদেশে এসেছেন শেখ আলিউল্লাহ।

অভিযোগে প্রকাশ, জালিয়া পালং, নিদানিয়া ও ইনানী সহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ১৮০টির অধিক নল কূপ স্থাপন করা হলেও এ ববাদ কত লক্ষ টাকা সৌদি আরব থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছে তার কোন হিসাব নেই। জেলা প্রসাশন, উপজেলা প্রসাশন কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি না নিয়ে কি উদ্দেশ্যে গোপনে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে এর রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান সচেতন মহল। অনেকের আশাংকা উগ্র মৌলবাদী কিংবা নিষিদ্ধ ধর্মীয় সংগঠনের টাকা দিয়ে নল কুপ গুলে স্থাপন করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা জরুরি।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে, নল কূপ স্থাপনের কথা সত্যতা স্বীকার করে মাহামুদুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে প্রসাশন থেকে কোন প্রকার অনুমতি নেওয়া হয়নি। সৌদি আরব থেকে কি পরিমান এখাতে অর্থ প্রেরণ করেছে এর ব্যাংক হিসাব আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূলত হুন্ডির চালানির মাধ্যমে এ টাকা গুলো বাংলাদেশে পাচার করে আনা হয়।