মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি :

বান্দরবানের লামা উপজেলায় চুরি করে আম পেড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অভিভাবককে বিচার দেওয়ার ভয় দেখানোর কারণে রাতের অন্ধকারে এক বাগান মালিক আবদুর রহিমের (৩৫) ওপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষ। রবিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের পূর্বশীলেরতুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, হামলাকারীদের হাত থেকে আবদুর রহিমকে রক্ষা করতে যাওয়ায় এক গৃহবধূকে প্রাণ নাশের হুমকিও দেয় প্রতিপক্ষ। শীলেরতুয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে হযরত আলী, তার ছেলে মো. ইযাছিনসহ ৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে এ হামলা করে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আহত আবদুর রহিমের বাবা আমির হোসেন।

অভিযোগে জানা যায়, বাড়ির পাশে আবদুর রহিমের একটি আম বাগান রয়েছে। শীলেরতুয়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে ইয়াছিন (২৩)সহ আরো ৩-৪জন মিলে প্রায় সময় ওই বাগান থেকে আম চুরি করে নিয়ে যায়। ইয়াছিনের বাবাকে আম চুরির ঘটনায় বিচার দেওয়ার ভয় দেখান আবদুর রহিম। এতে ইয়াছিন ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় সোমবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন, তার বাবা হযরত আলীসহ আরো ২-৩জন সংঘবদ্ধ হয়ে আবদুর রহিমের ওপর হামলা করে। এতে গুরুতর আহত হন আবদুর রহিম। এ সময় আবদুর রহিমের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এগিয়ে যান পাশের বাড়ীর গৃহবধূ পারভীন আক্তার।

গৃহবধূ পারভীন আক্তার বলেন, হঠাৎ চিৎকার শুনে আমি ঘর থেকে বের হয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আবদুর রহিমকে মেরে জমিতে ফেলে রেখেছে। এ সময় আমি আশপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করলে এবং এ ঘটনায় স্বাক্ষী দিলে হামলাকারীরা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে হুমকি দেয় হযরত আলৗ ও তার ছেলে ইয়াছিন। পরে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনি আরো বলেন, হামলাকারী ইয়াছিন গত বছর একই গ্রামের গোলবানু নামের এক বৃদ্ধ নারীকেও অহেতুক মারধর করে আহত করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবু তাহের জানান, কেউ অন্যায় করলে বিচার আছে। তাই বলে রাতের অন্ধকারে এভাবে রহিমকে মারাটা ঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, আবদুর রহিমের ওপর হামলার ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।