বিদেশ ডেস্ক :

দখলকৃত সিরীয় ভূমিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামানুসারে নতুন একটি শহর তৈরির কাজ উদ্বোধন করেছেন ইসরায়েলের প্রধোনমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রবিবার শহর উদ্বোধনের সময় নেতানিয়াহু বলেন এই অঞ্চলের ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেওয়ায় ট্রাম্পের সম্মানে এই শহরের নাম ট্রাম্প উপত্যকা রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভবন নির্মাণ শুরু না হলেও ট্রাম্পের নাম এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পতাকা সম্বলিত একটি ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন নেতানিয়াহু। সমালোচকেরা বলছেন, আইনগত বৈধতা না থাকলেও এটি নেতানিয়াহুর একটি প্রচারণার কৌশল।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় সিরীয় ভূখণ্ড গোলান মালভূমি দখল করে নেয় ইসরায়েল। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনও ইসরায়েলের এই দখলদারিত্বের স্বীকৃতি দেয়নি। তবে দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতি থেকে সরে এসে ২০১৯ সালের ২৫ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলি দখলদারিত্বের স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের উপস্থিতিতে ২৫ মার্চ এ সংক্রান্ত ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প।

রবিবার শহর উদ্বোধনের সময় নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ইসরায়েলের বন্ধু আখ্যা দিয়ে বলেন ‘আজ এক ঐতিহাসিক দিন’। অনুষ্ঠানে উপস্থিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফাইডম্যান বলেন, শহরটি ইসরায়েলের জন্য উপযুক্ত তবে এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হয়েছে।

গত এপ্রিলে দখলকৃত গোলান মালভূমিতে ট্রাম্পের নামে একটা কমিউনিটি গড়ে তোলার ঘোষণা দেন নেতানিয়াহু। প্রথম ধাপে ১২০টি সেক্যুলার-ধর্মীয় বসতি গড়ে তোলার কথা জানানো হয়। এর আগে ১৯৯২ সালে এখানে বসতি গড়ে তোলার অনুমতি দেওয়া হলে তা বাস্তবায়ন হয়নি।গোলানে বর্তমানে রয়েছে ৩৩টি শহর ও গ্রাম। এগুলোর মধ্যে নিমরদ গ্রামটি ১৯৯৯ সালে গড়ে তোলা হয়েছিল।

সিবিএস’র তথ্য অনুসারে, ২০১৭ সালে গোলানে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ৫০ হাজার। এদের মধ্যে ইহুদি ২৩ হাজার ও ইহুদি নয় এমন ধর্মালম্বী মানুষের সংখ্যা ২৭ হাজার।