বাংলা নিউজ: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী এবং সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে উঠা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাহিদা অনুযায়ী তথ্য দিতে কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কেএম নুর আহমদের নেতৃত্বে কাজ করছে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি। কমিটির আহ্বায়ক কেএম নুর আহমদ ছাড়া অন্য চার সদস্য হলেন- তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোল্যা খালেদ হোসেন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার সামশুল আলম, উপ-হিসাব নিয়ামক শাহ আলম এবং সেকশন অফিসার মুজিবুর রহমান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কেএম নুর আহমদ বাংলানিউজকে জানান, অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী এবং আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে উঠা দুটি অভিযোগ অনুসন্ধানে ১০ ধরনের তথ্য চেয়ে সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় দুদক। এসব তথ্য সংগ্রহ এবং দুদককে পাঠাতে ৫ সদস্যের একটি কমিটি কাজ করছে।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে আমরা কয়েকটি সভা করেছি। তবে এখনো সব তথ্য সংগ্রহ করতে পারিনি। হয়তো আরও কয়েকটি সভা আমাদের করতে হবে। বেশি সময় নেবো না। দ্রুত সময়ের মধ্যে দুদকের চাহিদা অনুযায়ী সব তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে।

গত এপ্রিলে দুদক থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো একটি তাগিদপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের জননেত্রী শেখ হাসিনা হল এবং কলা ও মানববিদ্যা ভবন-২ নির্মাণ প্রকল্পের তথ্য, গত দুই বছরে উপাচার্য হিসেবে বিভিন্ন মিটিং বাবদ অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সিটিং অ্যালাউন্স গ্রহণের তথ্য, ভিসির বাসভবন সংস্কার কাজের তথ্য এবং অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী উপাচার্য থাকাকালীন সময়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের তথ্য চাওয়া হয়।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলামের সই করা এ তাগিদপত্রে একই সঙ্গে সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনের সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি সংক্রান্ত তথ্য, ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যা মামলায় কারাভোগের সময় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে জামিন করা হয়ে থাকলে তার তথ্য, আনোয়ার হোসেনের স্ত্রীকে চবি জাদুঘরের সহকারী কিউরেটর পদে নিয়োগের তথ্যসহ মোট ১০ ধরনের তথ্য চাওয়া হয়।