সংবাদদাতা:
টেকনাফ সীমান্তে অপরাধ জগতে পা বাড়িয়ে লাখপতি হয়েছেন এর সঠিক সংখ্যা এখনো অজানা। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে অনেকে এখন নিজ হাতে ইচ্ছামত এলাকা শাসন করছেন। যেন তারা এলাকা নামের ছোট্ট একটি দেশের শাসনকর্তা। নিজস্ব বাহিনী তৈরী করে এসব ইয়াবা চোরাকারবারীরা এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করে বেড়াচ্ছেন। তাদের লাখপতি হওয়ার পেছনে রয়েছে ইয়াবার কালো থাবা।
হ্নীলার বিভিন্ন এলাকায় লাখপতির অভাব নেই তা যেমন চির সত্য। তেমনি একই পরিবারের মামা ভাগিনা দুইজন ইয়াবা কারবারি রয়েছেন তাঁরা হলেন মোঃ মোবারক ও জালাল উদ্দিন। তবে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের বড় লেচুয়াপ্রাংয়ের এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র জালাল উদ্দিন কয়েক বছরের ব্যবধানে লাখপতি বনে গেছেন বলে জানা গেছে। এই পরিবারের কারণে আশে পাশের এলাকার মানুষ রীতিমত অতিষ্ঠ উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি বন্দকযুদ্ধে নিহত হওয়া রোহিঙ্গা মোঃ আলমের অর্ধকোটি টাকা একাধিক ইয়াবা মামলার আসামি জালাল উদ্দিনের হাতে রয়েছে। হ্নীলাতে ইয়াবা চোরাকারবারীদের ধরতে অভিযান চালালেও বিশেষ এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোন না কোন পরিবারের ইয়াবা চোরাকারবারীদের আটক করলেও একাদিক ইয়াবা মামলার আসামি জালাল উদ্দিন এখনো দালালের ছত্রছায়ার অধরা রয়েছে। সে দেশের বিভিন্ন থানায় ইয়াবাসহ একাধিকবার আটক হলেও জামিনে বের হয়ে ইয়াবা কারবার বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি মাদকবিরোধী অভিযানে কয়েকজন নিহত ও বাকীরা গা ঢাকা দিয়েছে এমন তথ্য রয়েছে। যদিও এখনো অধরা হ্নীলার প্রভাবশালী জালাল উদ্দিন ও তার সহযোগীরা। যারা বিভিন্ন ব্যবসার আড়ালে মূলত ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত।
এসব অপরাধীরা অতি কৌশলী হওয়ার ফলে থানা পুলিশ এখনো নাগাল পায়নি জালাল উদ্দিনের। শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের আস্তানায় পুলিশের অভিযান সীমিত হলেও অনেক ক্ষেত্রে নজরে রেখেছে বলেও তথ্য দেন পুলিশ। প্রশাসনের তালিকায় চুনোপুঁটি মাদক সেবীরা। বাকি জালাল উদ্দিনের মতো রাঘববোয়াল এখনো অধরা বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জালাল বলেন, আমি বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে আগে ইয়াবা ব্যবসা করতাম, তবে এখন ইয়াবার সাথে জড়িত নাই।
জানতে চাইলে টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) দোহা বলেন, তার সম্পর্কে জানা নেই, খোঁজ খবর নিচ্ছি, কোন ইয়াবা ব্যবসায়ীর ঠিকানা টেকনাফে হতে পারে না।