গত ১৫ জুন দৈনিক ইনানী, কক্সবাজার পোস্ট ডটকম, কক্সবাজার কন্ঠ ডটকম অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত ‘শহরে স্টেডিয়াম পাড়ার ডজন মামলার আসামী ছিনতাইকারী বাহাদুর বেপরোয়া’ -শীর্ষক সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সর্বোপরি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক।

আমি কক্সবাজার স্টেডিয়াম পাড়ার সাধারণ সম্পাদক এবং একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। পাশাপাশি শ্রমিক আন্দোলন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত।

মূলতঃ আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রতিপক্ষরা সংবাদটি ছাপিয়েছে।

সংবাদের কারণে আমার ব্যক্তিগত ও সামাজিক মানমর্যাদা চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি।

প্রকৃতপক্ষে স্বার্থান্বেষী মহল সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়েছে। অভিযোগের সাথে আমার দূরতমও সম্পর্ক নাই।
খুবই দুঃখজনক বিষয় হলো, সামাজিকভাবে আমি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তি। আমার চলাফেরা, আচার আচরণ সবকিছু এলাকাবাসীর কাছে স্পষ্ট।

আমার মতো স্বচ্ছ জীবনযাপনকারী ব্যক্তিকে ‘ছিনতাইকারী’ আখ্যায়িত করা প্রকৃত ছিনতাইকারী ও অপরাধীদের আড়াল করার শামিল।

কাগজে কলমে কাউকে ‘অপরাধী’ বানানো যায়। কিন্তু বিবেক বিবেচনায় আদৌ অপরাধী কিনা? সেটা ভাবতে হবে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার আগে নিজের ‘বিবেকের আদালতে’ বিচার করা দরকার।

আমি নিশ্চিত, আমার প্রতিপক্ষ, সমাজের ‘কীট ও অপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত স্বার্থান্বেষী মহল তাদের ‘মিশন’ হিসেবে সংবাদটি প্রকাশ করিয়েছে। অভিযোগগুলো ‘বিন্দু পরিমাণ’ও সত্য নয়।

সবার জ্ঞাতার্থে আমি বলতে চাই, স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে যে কেউ যে কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ লালন করতে পারে। গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে।

মূলতঃ বর্তমান সরকার বিরোধী রাজনৈতিক রাজনৈতিক দলে যুক্ত থাকার অপরাধে আমার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সাজানো ও হয়রানিমূলক মামলা দেয়া হয়েছে। ওইসব মামলায় আমি আদালতের জামিনে রয়েছি। বিচারকার্য শেষে আদালত বলবে, আমি অপরাধি কিনা?
আদালতে চলমান মামলার রায়ের আগে কাউকে সুস্পষ্টভাবে অভিযুক্ত করা আদালত অবমাননার শামিল। তবু যারা এমন কাজটি করেছে- তারা ‘মূর্খ’, নতুবা ‘জ্ঞানপাপী।’

প্রকাশিত সংবাদে প্রশাসনসহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি। ভবিষ্যতে এ ধরণের সংবাদ পরিবেশনের পূর্বে সংবাদকর্মীরা আরো বেশি যত্নশীল ও দায়িত্বপরায়ন হবেন বলে আশা করছি।

এম.ইউ বাহাদুর
সাধারণ সম্পাদক
স্টেডিয়াম পাড়া, কক্সবাজার পৌরসভা, কক্সবাজার।