সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও গোমাতলী সড়কের স্ট্রীল ব্রীজ সংস্কার না করায় পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীর হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে। এ সড়ক দিয়ে উপজেলা সদর, কক্সবাজার যাওয়ার সহজ পথ হওয়ার ফলে ছোট ও ভারী যানবহন চলাচলে ফুটো ব্রীজে জনদূর্ভোগের শেষ নেই। সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল ব্রীজটি নির্মাণে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিলেও এ পর্যন্ত কার্যকারী কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
স্ট্রীলের ভাঙ্গা পাটাতন দিয়ে সিএনজি, অটো রিকশা ও ছোট গাড়ি চলাচল করলেও যে কোন সময় তা বন্ধ হয়ে বিচ্ছিন্ন হবে যোগাযোগ।
কিছু ইজিবাইক,সিএনজি, মোটরসাইকেল ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, বেইলী ব্রীজের বেহাল অবস্থায় যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ব্রীজ যেন মরণফাঁদে তৈরী হয়েছে।
ঝুঁকি নিয়ে প্রত্যেকদিনই পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহন ও যাত্রীরা বিভিন্ন সময় পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
জরাজীর্ণ ব্রীজের লোহার পাটাতন (স্লিপার ) ভেঙে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি আটকে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ব্রীজ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় বিকল হচ্ছে ছোট-বড় অনেক যানবাহন।
পোকখালী ইউপির ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার কলিম উল্লাহ বলেন, জনস্বার্থে উক্ত সড়ক সংস্কার করলেও ব্রীজ নির্মাণে আশ্বাস ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের বৃহত্তর গোমাতলীর মাঝে এ সংযোগ ব্রীজটি বিলুপ্ত বাংলা বাজার সংলগ্ন । বিএনপির আমলে ব্রীজটি নির্মানের ২ যুগ পার হয়ে গেলেও এটি সংস্কার বা পূণনির্মানে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
ইউনিয়নের উত্তর গোমাতলী রাজঘাট থেকে এই সড়ক ধরে ঈদগাঁও’র পথে যাতায়াতে এ ব্রীজটি জনগুরুত্বপূর্ণ।
পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর গোমাতলীতে ছোট বড় মিলিয়ে শতাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহনের জন্য ব্রীজটি এখন একটি বড়ো বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই ব্রিজটির বেহাল দশা । জন গুরুত্বপূর্ণ এ সমস্যা নিয়ে আমাদের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল মহোদয়ের সাথে কথা বললে তিনি ব্রিজটি দ্রুত নির্মানের জন্য এলজিইডি বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
এছাড়া আমি কক্সবাজার এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছি।
ব্রীজটি নির্মাণে দ্রুত উদ্যোগ না নিলে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
যদিও নির্বাহী প্রকৌশলী আশ্বাস দিয়েছেন বরাদ্দ এলে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ব্রীজটির বেহাল দশা এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ ব্রীজটি নির্মানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।