মোঃ ওসমান গনি:
কক্সবাজার সদর উপজেলার সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন ঈদগাঁও বাজার বাঁশ ঘাটা রোডের শাহ মজিদিয়া হোটেল (প্রকাশ পুরাতন শামশুর চায়ের দোকান) টি জবর দখল করেছে শফিকুল আলম তার ভাই তৌহীদসহ কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি। গত ৭ জুন সকাল আটটার সময় ঘটনাটি ঘটেছে।
দোকানের ভাড়াটিয়া নুরুল কবির প্রতিবাদ করলে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠাবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে শফিকুল আলম।
গত ২০১১ সালে শফিকুল আলম ও তার বড় ভাই শাহনেওয়াজ এর সাক্ষী হঠাৎ গণের মুখোমুখি দোকানের চুক্তি পত্রে হয়ে নগদ সাত লক্ষ নববই হাজার টাকা পরিশোধ করে উক্ত তিন বছর শান্তিপূর্ণ ভাবে দোকান করতে পরলে ও ২০১৪ সাল থেকে তাদের দুই পরিবারের মাঝে দোকান এর ভাড়া ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। তখন ছোট মায়ের পরিবার শফিকুল আলম বড় মায়ের ছেলে শাহনেওয়াজকে ভাড়া না দিয়ে তাকে দিতে বলে। দুই পরিবারের মাঝে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হওয়াতে ২০১৬ সাল থেকে দোকানের ভাড়ার বিষয় নিয়ে বিচার চলতে থাকে। আপাততে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দে বিচারক। এর পরের দিন শফিকুল আলম ভাড়াটিয়া নুর কবির কে দোকান থেকে বাহির করে দিতে হুমকি-ধমকি দে। এর জের ধরে আট ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে দোকানের ভাড়াটিয়া নুরুল কবির কে দোকান থেকে বাহির করে দে, প্রভাবশালী দোকানের দ্বিতীয় জমিদার শফিউল আলম ও তার ভাই তৌহিদ। এবং দোকানটি তালাবন্ধ করে রাখে এগারদিন পর্যন্ত। এমন সময় ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ বরাবরে একটি অভিযোগ করলে।
তারা দুই পরিবারের মধ্যেই সমাধান করার জন্য স্হানীয় চেয়ারম্যান মোঃ রশেদ এর কাছে অভিযোগ করলে রাশেদের বিচারাধীন অবস্থায় দোকানটি চালু করে দে পুনরায় তৎকালিন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ব্যাস্ত থাকায় বিচার সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরো জানান চেয়ারম্যান অসুস্থাতার খবর পেয়ে তারা দোকানের তালা ভেঙ্গে গায়ের জোরে দোকানে ভোগদখলে চালু করছে ।
তিনি আরো বলেন দোকানের সব আসবাবপত্রসহ মালামাল রয়েছে প্রায় দশ লাখ টাকার মত। জামানত আছে সাত লক্ষ নববই হাজার টাকা। সর্বমোট সতের লক্ষ নববই হাজার টাকার পর্যন্ত তাদের কাছে মালামল ও টাকা আটকে আছে। আসবাবপত্রসহ মালামের দাম এবং জামাত টাকা গুলো ফেরত পেলে আর কোন দাবি দাওয়া নেই বলে জানান দোকানের মালিক শফিউল আলম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন নুরুল কবির বিচার অমান্য করে এই দিক ঐ দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি আরো বলেন দোকানের জামানত বাবদ তিন লাখ টাকা পাবে। এবং দুই বছর ছয় মাস দোকানের ভাড়া বাকী আছে। ছয় হাজার করে,একলক্ষ আশি হাজার টাকা আছে বাকী,এই টাকা বাদ দিয়ে বাকী টাকা ফেরত নিতে পারে। আমরা দেওয়ার জন্য রাজি আছি। এবং তার বড় মায়ের ছেলে শাহনেওয়াজ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন পরিবারের সবার জানামতে আমার হাতে দোকানের জামানত বাবদ চার লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা দিয়েছিল। আমরা দুই পরিবারের মাঝে টাকা গুলো ভাগ করেনি। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন আমার ছোট মায়ের ছেলে যা করছে সম্পূর্ণ অন্যায় করছে তার খালাত ভাই মেম্বার দিদারকে নিয়ে এসব করছে। সব কিছু ইন্ধন দাতা হিসেবে যোগান দিচ্ছে এমন ইউপি সদস্য দিদার।
এমন ইউপি সদস্য দিদার এর মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে সংযোগ না পাওয়াই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সর্বশেষ তিনি বলেন তাদের দুই পরিবারের মাঝে বাপের সম্পদের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে এর প্রভাব পেলে দোকান ভাড়াটিয়া নুরুল কবির এর উপর। নির্যাতিত করছে ভাড়াটিয়ার উপর তার মালামাল ও আসবাবপত্রসহ জামানতের টাকা ফেরত না পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রতিনিয়তই এবং পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরী বলে ভুক্তভোগীরা জানান।