জসীম উদ্দীন সিদ্দিকী 

জীবনটা বড়ই কষ্টের তবে আল্লাহর রহমতে সবার সহযোগিতায় সংগ্রামের মাধ্যমে ভালোই চলছি।
কর্মজীবন শিক্ষকতা পেশা দিয়ে শুরু হলেও মাঝপথে আসছি মহান সাংবাদিকতা পেশায়। ছোটবেলা থেকে খুবই সাধারণ এবং সৎ কর্মে জীবন যাপন করার চেষ্টা করে আসছি। আমার জানামতে কারো কোনো ক্ষতি করি নাই। আমি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত একজন মানুষ।কোনো সময় বড় হতে চাইনি । সম্মান আর পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করতে পছন্দ করি।

যাক আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করতে চাই, যেহেতু বললাম পৃথিবীতে আমার আসা ভুল ছিলো! তাই বলছি, হঠাৎ করে চলার পথ হারিয়ে কিছু ভুল করেছি। সে ভুলের মাসুল দীর্ঘ ১ যুগ ধরে দিয়ে আসছি এটাই হলো বাস্তবতা। শুরু করি, ২০১২ সালে কক্সবাজার মিডিয়া কাপের ফুটবল খেলা খেলতে গিয়ে মাঠে মারাত্নকভাবে পায়ে আঘাত পেয়েছিলাম। ঐ আঘাতের কারনে এখনও ভালো করে হাটতে পারি না। এই আঘাতের জন্য পঙ্গু হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েছিলাম। এর পর ২০১৫ সালে হঠাৎ করে স্ট্রোক করি। ভালোমত চিকিৎসা পেয়েছিলাম তাই মহান আল্লাহর রহমতে বেঁচে যাই। তারপর হার্টে ২টি রিং স্থাপন করি।

২০১৬ সালে পিত্ততলীতে পাথর! চট্টগ্রাম ম্যাক্স হাসপাতালে অপারেশন করি। ভালোই ছিলাম। ২০১৮ সালে লিভার জন্ডিস আক্রান্ত হয়ে সি ভাইরাসে আক্রান্ত হই। পরে দেশের চিকিৎসায় ভরসা করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে জীবনের তাগিদে ভারতে যাই ৩ মাসের মাথায় ২ বার। আজ ১৫ জুন আমার ৩য় বারের মত ভারত যাওয়ার তারিখ ছিলো। শরীর চেকআপ করার জন্য! কিন্তু ১৩ জুন হঠাৎ করে মূত্রতলির ব্যাথায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। পরে প্রাইভেট হাসপাতালের এক অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাই। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় তিনি বলেন, একাধিক পাথর থাকার কারনে প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাচ্ছে এবং প্রস্রাব আটকে যাচ্ছে। যদি দ্রুত অপারেশন করা না গেলে বিপদে পড়ে যাবো! এখন খুবই কষ্টে মহান আল্লাহর রহমতে বেঁচে আছি।

উল্লেখিত রোগের চিকিৎসার জন্য আমার প্রায় ১৫ লাখের অধিক টাকা খরচ হয়েছে। আমি তো সাধারণ কিন্তু অসাধারণ রোগের চিকিৎসা খরচে দিশাহারা! এখন মূত্রতলীর পাথর অপসারণ করতে হবে। তবে যারা অন্তর থেকে ভালোবাসেন তারা আমাকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন। তাদের নাম বলে আমি কাউকে ছোট করতে চাই না। আমি আপনাদের জন্য সব সময় দোয়া করি।

সুতরাং সব মিলিয়ে মনে হয় আমার পৃথিবীতে আসা ভুল ছিলো! খুবই কষ্ট পাচ্ছি। রোগ আমাকে ছাড়ে না! তারপরও মহান মালিকের কাছে শোকরিয়া।

সবাই ভালো থাকবেন আর আপনাদের অন্তরে আমাকে একটু জায়গা দিবেন। সবার জন্য সব সময় শুভ কামনা।

-লেখাটি জসীম উদ্দীন সিদ্দিকীর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে সংগৃহিত