প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি বলেছেন-কবিরা কবিতার ছন্দে আমৃত্যু অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র ও গণমানুষের কথা বলে যাচ্ছেন। আর এর মধ্যে দিয়ে কবিরা সামাজিক দায়িত্বও পালন করেন। তিনি বলেন-ধর্ম, জাতি, বর্ণ, শ্রেণি বা গোষ্ঠী মানুষ ও দেশকে যত বিভক্ত করে, তার বিপরীতে কবি ও কবিতা সবাইকে শান্তি ও কল্যাণ এবং শ্রেয়োবোধ উজ্জীবিত করে। এতে প্রমাণিত হয়, কবিতার প্রয়োজনীয়তা মানুষ, সমাজ এবং রাষ্ট্রের সবসময়ের জন্য আছে। কবির হয়তো ছাড়পত্র দরকার, কিন্তু কবিতার তা দরকার পড়ে না। কবিতা স্বপ্ন, সংগ্রাম, ভালোবাসা, জীবন ও বাস্তবতার ভাষ্যরূপ দেয়।

তিনি শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে দুইদিনব্যাপি “কবিতা বাংলা, কবিতা উৎসব ও কবি কামরুল হাসানের কাব্য নাটক ‘মুক্তিযুদ্ধ ফিরে ফিরে ডাকে’ ভাসান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শাজাহান আলি। জাতিসত্ত্বার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কবি বরণ করেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মাণিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্যে রাখেন-ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কবি অমৃত মাইতী, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর, কবিতা বাংলার সাধারণ সম্পাদক কবি ফরিদ আহমদ দুলাল, কবি আসলাম সানী, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক এসএম সিরাজুল ইসলাম, কবি সানাউল শাহ প্রমুখ।

হেমন্তিকা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত উক্ত উৎসবকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তন ও আশপাশের এলাকাকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে কবি কামরুল হাসানের কাব্য নাটক “মুক্তিযুদ্ধ ফিরে ফিরে ডাকে”-এর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। সর্বশেষ হেমন্তিকা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির পরিবেশনায় “মুক্তিযুদ্ধ ফিরে ফিরে ডাকে” কাব্য নাটকটি পরিবেশিত হয়। দুইদিনব্যাপি অনুষ্ঠান মালার মধ্যে শনিবার রয়েছে কবিতার সমুদ্র স্নান ও কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠ।