চকরিয়া সংবাদদাতাঃ
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে সৌদিআরব প্রবাসী পরিবারকে জিম্মি করে চলাচলের পথ দখল, হুমকি-ধমকি ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত প্রভাবশালীর নাম মনসুর আলম। তিনি খুটাখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পূর্বপাড়ার মৃত আক্তার হোসাইনের পুত্র।
ভুক্তভোগী সেতারা বেগম সৌদিআরব প্রবাসী নুরুল আমিন প্রকাশ আমিন মেম্বারের স্ত্রী।
দখলবাজ মনসুর আলমের হুমকি-ধামকিতে সন্তান সন্ততি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে বলে অভিযোগ করেছেন সেতারা বেগম।
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী মৌজার বিএস ২৬৭৬, ২৬৭৭ ও ২৬৮১ দাগের অন্দর ০.১০১৬ একর বসত ভিটা, নেছার আহমদ ও হাসিনা বেগমের কাছ থেকে ৪৩৪০ নং দলীল মূলে ক্রয় করেন নুরুল আমিন। ২২/৮/২০০৪ ইং তারিখে ক্রয় করার পর থেকে তারা উক্ত জমিতে বসতি স্থাপনপূর্বক সম্পূর্ণ ভোগ দখলে রয়েছে। কয়েক বছর পরে তাদের পার্শ্ববর্তী অংশটুকু ক্রয় করে মনসুর আলম।
প্রবাসীর স্ত্রী সেতারা বেগমের অভিযোগ, তাদের একান্ত পারিবারিক চলাচল পথ দখলে নিতে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী মনসুর আলম। উভয় পরিবার পাশাপাশি হলেও যার যার আলাদা চলাচল পথ রয়েছে। কিন্তু পরিবারের কর্তা আমিন মেম্বার দেশে না থাকার সুযোগে তাদের দীর্ঘদিনের চলাচলের পথ দখল করার পাঁয়তারা করছে মনসুর আলম।
এমনকি, ওই জায়গার জমির দলিল, খতিয়ানসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র তাদের অনুকূলে থাকলেও জোর খাটাচ্ছে মনসুর আলম।
মিথ্যা অভিযোগে তিনি গত ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মামলা (এম.আর ৯০০/১৮) দায়ের করে।
পরে মহামান্য আদালত এটি তদন্তের জন্য চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে প্রেরণ করে। এসিল্যান্ডের নির্দেশে সার্ভেয়ার মোঃ শাখাওয়াত হোছাইন সরেজমিনে যাচাই করে গত ২৮ জানুয়ারী প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, বিরোধীয় জমিতে মনসুর আলমের কোন মালিকানা নাই। চলাচলের পথটি মামলার বিবাদী অর্থাৎ সেতারা বেগম পক্ষের বলে দলিলে চিহ্নিত আছে। এটি তারা যথাযথ ভোগদখলে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছে, মনসুর আলম গায়ের জোরে প্রবাসী পরিবারের অসহায়ত্বের সুযোগে চলাচলের পথ দখলে নিতে পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
এদিকে সেতারা বেগম প্রতিবেদককে অভিযোগে জানায়, সম্প্রতি প্রতিপক্ষ মনসুর আলম ওই চলাচল পথটি দখলে নিতে তার বিল্ডিং কেটে দরজা করে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে সেতারা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকিধামকি দেয়। এমতাবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী সেতারা বেগম। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।