মঈনুল হাসান পলাশ

কক্সবাজারকে গ্রাস করার তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। তিনদিক থেকে চেপে আসছে বিশেষ শক্তি।
আর মাঝের জায়গায় নজর পড়েছে সিভিল প্রশাসনের।
যারা কক্সবাজারের বাসিন্দা, আগামীতে তাদের পরিণতি করুণ।
হয়,টাকার বদলে উচ্ছেদ। না মানলে জোর করে উদ্বাস্তু বানানো হতে থাকবে কক্সবাজারের আদি বাসিন্দাদের।
যতোই কক্সবাজারের গুরুত্ব বাড়ছে,ততোই এখানকার মানুষের কপালে দুঃখ নেমে আসছে।
প্রথম শুরু ওয়ান ইলেভেনের আমলে। তার পরিণতি পুরা মেরিন ড্রাইভ রোড। প্রায় ৮০ কিলোমিটার যে রোডের পাশে কক্সবাজারের মানুষের কোনো ঠিকানা নেই।
কক্সবাজারের বাইরে থেকে আসা “দুধের সর” খাওয়া এই শক্তিগুলোকে অনেকটা “রাজাকার”দের মত,পথ দেখায় স্থানীয় কিছু নেতা আর ভূমিদস্যু দালাল।
হাউজিংয়ের নামে,প্রকল্পের নামে কক্সবাজারের পাহাড়, জংগল বেহাত হয়ে যেতেই থাকবে।
কেউ কেউ অবশ্য প্রতিবাদ করে।
কেউ কেউ প্রতিবাদের অভিনয় করছে।
আর খামোখা নাছোড়বান্দার মতো প্রতিবাদ করলে তাকে নাস্তানাবুদ করা হচ্ছে।
অতএব, কক্সবাজারের বেশিরভাগ মানুষকে একদিন উদ্বাস্তু হতেই হবে।
কারণ, কক্সবাজারের স্বার্থ রক্ষা করবার মতো জ্ঞানী,দুরদর্শী,অভিজ্ঞ,আন্তরিক,প্রতিবাদী,দৃঢ়চেতা কোনো নেতৃত্ব এখন নেই।
তল্পীবহন করে নিজের স্বার্থ রক্ষা করাও কষ্টকর হয়,সেখানে মানুষের স্বার্থ দেখা তো দুরস্ত।

ফেসবুক টাইমলাইন থেকে-