মোঃ নেজাম উদ্দিনঃ

কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়ার ২নং ওয়ার্ডের জুমছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল ১০ টা থেকে জুমছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ও চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল কাসেম মোহাম্মদ ফজলুল হক।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আমরা এই স্কুলে যেমন পড়ালেখায় ভালো ছিলাম তেমনি দুষ্টমীতেও ভরা ছিলাম। আমাদের তখনকার ক্লসমেটরা এখন অনেকে অনেক জায়গায় কাজ করছে। মাঝে মধ্যে দেখা হয়। যে যার জীবন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। তার পরেও আজকে আমরা সকলে একসাথে মিলিত হতে পরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। এমন অনুষ্ঠান যেন প্রতি বছর হয়, আয়োজকদের আহবান জানান তিনি।

প্রধান বক্তা ছিলেন প্রাক্তন ছাত্র নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এমএ সরকারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক জসিম উদ্দিন।

স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ও স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আহমদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্য এহসান উল্লাহ, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজ মওলা, সাংবাদিক নেজাম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জুমছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার ফয়জুল্লাহ।

পুণর্মিলনীতে সর্ব সম্মতিক্রমে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশের করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ।

এতে উপস্থিত ছিলেন- শাপলাপুর মাদ্রাসার সহসুপার মাওলানা অলি আহমদ, শ্রমিক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি আবুল, সমাজসেবক গোলাম মওলা, কবির আহমদ, আবদুর রশিদ, মাওলানা নাজের উদ্দিন, মাওলানা জয়নাল আবেদীন, ব্যাংকার জয়নাল আবেদীন, পূর্ব জুমছড়ি সরকারী প্রাথমিক ব্যিালয়ের সভাপতি আবুল কালাম, কক্সবাজার সরকারী কলেজের ইংরেজী বিভাগে ছাত্র খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের অন্যতম অতিথি সাংবাদিক নেজাম উদ্দিন বলেন, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ইয়ারলি চাইল্ড কেয়ার সেন্টার প্রাথমিক শিক্ষার সহায়ক হিসাবে কাজ করছে। এই পর্যন্ত আমরা এলাকায় ৩-৫ বছরের শিশুদের জন্য দুটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি, যা প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখবে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে এই স্কুল থেকেে গত বছরের পিইসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে, তাদের সম্মানীত করবে।

প্রধান শিক্ষক মাষ্টার ফয়জুল্লাহ বলেন, ১৯৩৭ সালে এলাকার জমিদার মরহুম আবদুল হাদী মুন্সী এই স্কুলটি  প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে আজ আমরা ৮২ বছর পর অনেক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার সম্মিলনে আজকের এই ঈদ পুনর্মিলনী। সবার আন্তরিক অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় আয়োজনটি সফল ও সার্থক হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে সবার অংশগ্রহণমূলক সহযোগিতা থাকা চাই।

প্রধান বক্তা অধ্যাপক জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা যখন এই স্কুলে পড়ালেখা করেছি, তখন যে টিচারগন ছিলেন, আমাদেরকে সন্তানের মত আদর করতেন।

এদিকে অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী ছাড়াও এলাকার সুশীল সমাজের সসকলে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সার্থক করে তুলে।অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ও স্কুলের সহকারী শিক্ষক আমির হোসাইন।