মুহাম্মদ উল্লাহ মাহদী

পবিত্র সিয়াম পালন করার পর প্রতি বছর ঘুরে ফিরে আমাদের জীবনে আসে নবহিল্লোল ঈদের খুশি আনন্দ। নবী করিম (সাঃ) হিজরের পর দেখলেন মদিনায় দুটি উৎসব পালন করা হয়। যা হাসি খুশি আনন্দের উদ্দেশ্য এরা করে থাকে। কিন্তু তারা জুয়া থেকে শুরু করে অনেক অনৈতিক কর্মকান্ড দিয়ে হাসি খুশি উদযাপন করছে। নবী (সাঃ) তাদেরকে দুটি জাহেলি প্রথার উৎসবের পরিবর্তে খুশির সংবাদ শুনালেন এবং মুসলিম নরনারীদের জন্য ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপনের মাধ্যমে মদিনার ঘরে ঘরে আমেজ ও আনন্দের বার্তা নিয়ে আসল শরীয়তের নীতিমালায়। আলহামদুলিল্লাহ। সেই থেকে আমরা ঈদের আনন্দে মাতোয়ারা। হরেক রকমের কাপড় পড়ে ঈদগাহে সালাত আদায়ের পর একে অপরের সাথে মুসাফাহা ও কুলাকুলিতে আমরা সবকিছু ভুলে যাই।

কবি নজরুলের ভাষায়- দোস্ত দুষমন এক হও, আপনাকে আজ বিলিয়ে দেয় ওহে মুসলিম, ভ্রাতৃত্ব প্রীতিম ভালোবাসা তৈরী হয়, ধনী গরিব এক কাতারে শামিল হয়, হরেক রকমের সেমাই, সিন্নি দিয়ে আপ্যয়ণ করা হয়।

সত্যি তাদের জন্য ঈদের আমেজ ও হিল্লোল বয়ে যায়, যারা সিয়াম কিয়াম পালনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও তাকওয়ার গুণাবলী অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

রাসুল (সাঃ) মহিলাদেরকেও ঈদগাহে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি হায়েজ বা ঋতুবতী মহিলাদেরকে ঈদগাহে যাওয়ার কথা নবী (সাঃ) বলেছেন। তবে তারা ঈদের সালাত আদায় করবেনা। এভাবে আমরা সকলেই ঈদের আনন্দ সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে মুসলিম উম্মার পবিত্র ধর্মীয় উৎসব পালন করে মহান আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করি।

আল্লাহ বলে, বলুন আমার সালাত কুরবানি, হায়াত মউত বিশ্বপ্রতিপালক আল্লাহর জন্য।

অতীব দুঃখের বিষয়, অনেক মুসলিম দেশে মুলিমদের উপর পৈশাচিক নির্যাতনের কারণে তারা মানবেতর ও অসহায় জীবন কাটাচ্ছে। পুরো দিনে বা সপ্তাহে অনেক সময় একবেলা খাদ্য ও জুটেনা। এমন কি, জেল জুলম ও হয়রানির শিকার হয়ে কারাবন্দী থাকে। তাদের ও পরিবারের ঈদের আনন্দ ম্লান করে দিয়েছে। তাদের জন্য আমাদেরকে বেশী বেশী দোয়া করতে হবে এবং মুসলিম সরকারদের সদিচ্ছা ও তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে তাদের জীবনে ও হয়তো ঈদের আমেজ ও আনন্দ ফিরে আসবে।

আল্লাহ সকলকে ঈদের খুশি ও আনন্দ উপভোগ করে আল্লাহর রেজামন্দি হাসিল করার তাওফিক দিন,আমিন।

লেখকঃ মুহাম্মদ উল্লাহ মাহদী
কক্সবাজার মাদানী ফোরাম, মদিনা মনোয়ারা, কে,এস,এ