নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে সংরক্ষিত বনভূমি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড়-টিলা এক্সেভেটর দিয়ে কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রি করার সময় দণ্ডায়মান গাছ উপড়ে গিয়ে বসতবাড়ির ওপর পড়েছে। এ সময় গাছের নীচে চাপা পড়ে আহত হয়েছে পুত্রবধূ ও শ্বাশুড়ি। তাদেরকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে স্থানীয় মালুমঘাট মেটোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে ভর্তি করায়। রোববার দুপুরে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মেদাকচ্ছপিয়া তেতুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই নারী হলেন খুটাখালী ইউনিয়নের উত্তর মেদাকচ্ছপিয়া তেতুলতলা এলাকার আবদুল খালেকের স্ত্রী আমিনা খাতুন (৬৫) ও তঁার ছেলে বদি আলমের স্ত্রী পারভীন আক্তার (৩৬)।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক চকরিয়া থানার পুলিশের একটিদল ঘটনাস্থলে গেলে পাহাড় কর্তনকারীরা পালিয়ে যায়। তবে এ সময় সেখানে কয়েকটি এক্সাভেটর পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। এ সময় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন পুলিশের প্রতি দাবি জানান, পরিবেশ ধ্বংসে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, খুটাখালী ইউনিয়নের মেদাকচ্ছপিয়া বনবিটের সংরক্ষিত বনভূমি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন টিলা ও পাহাড় শ্রেণির জায়গা এক্সাভেটর দিয়ে কেটে অন্যত্র মাটি বিক্রিতে সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছে ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জিল্লূর রহমান। তাঁর সঙ্গে মাটি লুটের ব্যবসায় জড়িত আছেন বেশ ক’জন তথাকথিত প্রভাবশালী।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামীলীগ নেতা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় কতিপয় মহল পুলিশসহ বিভিন্নমহলকে ভুল বুঝিয়ে ছোট্ট একটি ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্ঠা করছেন। তবে পাহাড় কেটে মাটি লুটের সঙ্গে তিনি একা জড়িত নন বলে দাবি করেন জিল্লুর রহমান।
অপরদিকে দুপুরে ঘটনার খবর পেয়ে চকরিয়া থানার ওসি মো.হাবিবুর রহমানের নির্দেশে ঘটনাস্থলে ছুটে যান থানার এসআই মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘পাহাড় কাটার সময় ঘটনাস্থলে গাছ চাপা পড়ে আহত দুই নারীকে স্থানীয় লোকজন মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তাদেরকে দেখে এসেছি। বিস্তারিত থানায় গেলে জানাবো।