নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া মসজিদ গেইটে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে কুতুবদিয়া পাড়ার  মানব পাচারকারী খোরশেদের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানের ভিতরে ঢুকে এই হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে সদর থানার ওসি’র নির্দেশে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ওই দিকে এই হামলার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এবং ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে খোরশেদের প্রভাবশালী সহযোগিরা।

প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে মসজিদ গেইটের সামনে ‘মায়ের দোয়া মটরস’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ঈদ উপলক্ষে চাঁদা দাবি করে খোরশেদ। মাদক সেবন করে এসে গালিগালাজ করে দ্রুত টাকা দিতে বলে। দোকানের মালিক তার দাবিকৃত টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে খোরশেদ। কিন্তু কয়েক ঘন্টা পর রাত ৮ টার দিকে খোরশেদের নেতৃত্বে ১০/১২ জন দুর্বৃত্ত এসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অতকির্তভাবে হামলা চালায়। দোকানের ভিতরে ব্যাপক লুটপাটও চালিয়েছে তারা। এসময় তাদের হামলায় আহত হন দোকানের কর্মচারী জুয়েল। জুয়েলকে রক্ষা করতে এসে লোহার রড ও হকিষ্টিকের হামলার শিকার হয়েছে পথচারী সরওয়ার ও মিস্ত্রি কামাল। এক পর্যায়ে ত্রাস সৃষ্টি করে দোকানের ভিতরে ক্যাশ বাক্সে থাকা মালামাল বিক্রির প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
দোকানের মালিক এরফান বলেন, দুবৃত্তরা এমনভাবে অতকির্ত হামলা ও লুটপাট চালাবে আমি কল্পনাও করিনি। ঈদের আগে টাকার জন্য খোরশেদ সিন্ডিকেটের সদস্যরা খুব বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দোকানে হামলা ও লুটপাটের বিষয়ে থানায় অবগত করা হয়েছে। রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেন।
এরফান আরো বলেন, ঘটনায় বিষয়ে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এজাহার দায়েরের বিষয়টি জানতে পেরে খোরশেদ বিভিন্নভাবে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তার একজন ভাগ্নি কালামের মেয়েকে ভিকটিম সাজিয়ে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করে আমাকে ও পরিবারের সবাইকে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। দুর্বৃত্তদের এমন হুমকিতে বর্তমানে আমার পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একই সাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে। এবিষয়ে জরুরি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, সমিতি পাড়া মসজিদ গেইটের সামনে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার বিষয়ে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।