হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
মিয়ানমার সীমান্ত পরিবেষ্টিত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতার্মীরা টার্গেট কিলিংয়ের আতঙ্কে ভূগছেন। সম্প্রতি বান্দরবান পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চথুইমং মারমাকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন- ‘জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সন্ত্রাসীরা অনেক শয়তান। তারা বান্দরবানে অন্তত ৪৫জন আওয়ামী লীগের নেতাক হত্যার ছঁক একেছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এর পর পরই খুন হন চথুইমং মারমা। এই ঘটনার প্রভাবে টার্গেট কিলিংয়ের ভয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম গ্রামের নেতাকর্মীরা রাতে বাড়িঘরে থাকার সাহস হারিয়ে ফেলেছে।’

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.শফিউল্লাহ বলেছেন, উপজেলায় জেএসএস ও জামায়াত-শিবিরের মধ্যে সখ্যতা অনেক পুরোনো। তারা যেকোন মুহুর্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটাতে পারে। পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব না হলে এই আতঙ্কের অবসান হবে না বলে মনে করেন শফিউল্লাহ।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সাবেক সাধারণ সম্পাদক মংনু মারর্মা বলেছেন ‘জেএসএস’র কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেন ভয়ে থাকবে? তাঁরাতো সরকারি দল। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রশাসন আছে। জেএসএস’র-তো কেউ নেই। গুম-খুন নিয়ে সাধারণ মানুষের ন্যায় তারাও (জেএসএস) আতঙ্কে রয়েছেন। তথ্য প্রমান ছাড়া পুলিশের গ্রেপ্তার আতঙ্ক নিয়েও নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া।

এ প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন- বান্দরবান সদরে আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ করে হত্যার পর থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির প্রতিটি এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। জেএসএস-এর নেতাকর্মীদেরকে রাখা হয়েছে গভীর নজরদারিতে। প্রয়োজন হলে গ্রেপ্তারও করা হবে। বর্তমানে উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত বলে জানান ওসি।